THE FORGOTTEN AIRPORT OF WORLD WAR -2" DHUBULIA (প্রথম পর্ব ) 🔰

সাল ১৯৪৪,
সারা বিশ্ব জূড়ে চূড়ান্ত অস্থির পরিস্থিতি , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের লেলিহান আগুনে ছাড়খার পৃথিবী। সেই দাবানলের আঁচ পৌঁছে গেছে ভারতের সীমান্তে ,নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসু তাঁর আজাদ হিন্দ বাহিনী জাপানের সাথে একযোগে ভারত আক্রমনের পরিকল্পনা করছে , নেতাজি ভারতবাসীকে  বলেছেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো "। দেশের ভিতরেও  স্বাধীনতার আগুন জ্বলছে  , ঠিক এই রকম পরিস্থিতিতে তৎকালীন ব্রিটিশ  সরকার  অবিভক্ত বাংলার নদিয়া জেলার ধুবুলিয়া  নামক ছোট্ট একটি গ্রামে শুরু করল  এক  বিরাট এয়ারপোর্ট  নির্মাণের , তাদের লক্ষ্য  জাপানের ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর  বিরুধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এই  এয়ারপোর্ট কেন্দ্র করে ধুবুলিয়ার মতন একটা অখ্যাত গ্রামে গড়ে উঠতে শুরু হল অনেক বড়ো বড় নির্মাণ, এক হুলুস্থূল, হুটপাটি ........
এক বিরাট কর্মকাণ্ড , সাধারণ গ্রামের মানুষের চোখ ঝলসে গেল ।

 কিন্তু  কেন ধুবুলিয়াতেই এই এয়ারপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল ?
আর এর জন্য কী রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল সেই সময়ের ধুবুলিয়ার অধিবাসীদের  ?? 
 এই AIRPORT কিভাবে  তৈরি করা হয়েছিল  ??  
 আর এতো বছর পরে কেমন আছে  ব্রিটিশদের সেই
  এয়ারপোর্ট .    ???
Uploading: 372061 of 372061 bytes uploaded.

  
       এইসব নিয়েই  আমাদের এই  ধারাবাহিক  গল্প ,

Uploading: 372061 of 372061 bytes uploaded.


আজকে গল্পের প্রথম পর্ব
  
 "THE  FORGOTTEN AIRPORT OF  WORLD WAR -2"  DHUBULIA  

    (প্রথম পর্ব 
  
 In The Mid Of February, 
Dhubulia Natun Bazar.





মার্চ মাসের তিব্র গরম, বাজারের 
অবস্থা প্রায় দমবন্ধ করা  , ভীর ,হইচই ,ঠেলাঠেলি।  বেশ কয়েক বছর আগে ধুবুলিয়া ছিল  ছোট শান্ত একটা জনপদ । কিন্তু  যতদিন যাচ্ছে  যেমন জনসমাগম বেড়েই চলছে, সমান তালে বেড়ে চলেছে ব্যস্ততা  ।
বাজারের সামনে দাড়িয়ে , ভাবছি ভীড় এড়িয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরবো ।
 হটাৎ  পিছন থেকে একটা একটা চেনা কণ্ঠ স্বর শুনে ফিরে তাকালাম ।

" সুপ্রভাত  দাদা, একটু সময় হবে,  ধুবুলিয়ার পুরোনো গল্প শুনতে চাই, m " কৌতূহল মুখে একটু দূরে দাড়িয়ে ভাতৃপ্রতিম সুখেন  । 
ধুবুলিয়ার ইতিহাস  ??
জিগ্যাসা করলাম,  কেন বল তো ? 
   আসলে কাল আমার একটা অনলাইন ইন্টারভিউ আছে, সেখানে  নিজের এলাকা সম্পর্কে কিছু বলতে হবে,  তাই ভাবলাম তুমি তো এগুলো নিয়ে পড়াশোনা করো । যদি একটা মোটামুটি ধারনা পাওয়া যায় ,তাহলে খুব ভালো হয়, এই ধরো ধুবুলিয়া নাম কি ভাবে হল? এখানে এয়ারপোর্ট কারা করলো, কেন করলো? এই সব কিছুই।
হুম, কিছুটা জানি , তবে পুরোটা নয়। ধুবুলিয়ার ইতিহাস বললে দুটো পর্যায়ে ভাগ করে নিতে হবে, প্রথম পর্যায়ে স্বাধীনতার পূর্বে ব্রিটিশ শাসণে এয়ারপোর্ট নির্মাণ সেই সঙ্গে যুক্ত ঘটনার  আর দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাধীনতার পরে দেশ ভাগ ও ওপার বাংলা থেকে আগত ছিন্নমুল উদ্বাস্তু মানুষের জন্য তৈরী ক্যাম্প ও সেই সব ঘটনার ক্রমান্বয়ের ইতিহাস।
তাহলে, আমাকে এয়ারপোর্ট ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়ের ইতিহাসটাই বলো, সুখেন উত্তর দিল।
ওকে ।
বলছি তাহলে .........!!!
[ কিছু সময়ে পর ]
থ্যাংক উ দাদা,

 মনে হচ্ছে এটাতেই হয়ে যাবে.


[ উপরের ঘটনার প্রায় এক মাস পরে ]
এর মধ্যে আমি ইউটিউবে একটা চ্যানেলের সাথে যুক্ত হয়েছি, নাম  R.SUBHRO Vlogs 



        Same Place...... Same Person, Again
"দাদা তোমার ভিডিও দেখলাম ইউটিউবে.... তোমাকে একটা কথা বলতে পারি  ? 
নিশ্চই, বল না, কি কথা আমি বললাম. 
তুমি সেদিন আমাকে ধুবুলিয়ার যে ইতিহাস  বলেছিলে, সেটা নিয়েই তো একটা ভিডিও বানাতে পারো, 
এই একটা ডকুমেন্টারি । তাহলে সবাই এই পুরানো ইতিহাস  জানতে পারে. আমার মনে হয়. এটা জানা দরকার আছে। এটা একটা হেরিতেজ ইতিহাস।
ঠিক আমি সম্মতি জানিয়ে মাথা নাড়ালাম ।

কিন্তু  তখন আমি ধুবুলিয়া T. B হাসপাতাল এর ( Largest In Asia Continent ) বর্তমান সিচুয়েশন উপরে ভিডিও তৈরী নিয়ে ব্যস্ত.
(যেটা নিয়ে আমি দুটো পার্ট এ ভিডিও বানিয়েছি, আমার ইউটিউব চ্যানেলে আছে )
 তাই বললাম , "ওটা তো অনেক বড়ো ভিডিও হবে, একা একা হবে না, 
দেখি পরে ভাবি " !! Actually I Was Not Serious In This Matter At that time.


       

র দুই দিন পরে ,9.30Am
 আমার ফোনে রিং টোন বেজে উঠলো, দেখলাম Calling Pappu....
(পরে পাপ্পু বা সন্দীপন '' আমাদের টীমে একটা গুরুত্ব পূর্ণ সদস্য হয় )........ হ্যালো বল পাপ্পু, কেমন আছিস ? .... ... গুডমর্নিং দাদা,  কেমন আছো ?
 তুমি ইউ টিউব এ ভিডিও বানাছো কবে থেকে ?
এই তো ...!!"
তুই দেখলি, জিজ্ঞাস করলাম ?
হুম দেখেই তো ফোন করছি... একটা কথা ভাবলাম তোমাকে বলি.
প্রশ্ন করলাম, হুম বল কি কথা?
তুমি তো আমাদের এখানে ''সাহেব বাংলো''  নিয়ে একটা ভিডিও বানাতে পারো!!!
সাহেব বাংলো   ????
(এর ভিডিওটা এখনো আপলোড হয় নি )
তাই নাকি!!!! তা ওটার ইনফো পাবো কোথায়? ভিডিও বানাতে গেলে তো, ওটা
দরকার

'সে নিয়ে তোমার ভাবনা নেই...... আমার বাবা (শঙ্কর দাস মজুমদার, ইনি একটা গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ভিডিওতে, পরে যেটা বলছি ) তোমাকে সব জানিয়ে দেবে.... !!!
আরে তুমি একবার এসো তো , দেখো সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে..... ☺️

OK... বলে মোবাইল টা রাখলাম!!!!!


(
বাকিটা পরে )

All writings and other content here are entirely the author's own.
Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ফাস্ট ফুড, চাউমিন বা ন্যুডলস। Health is Your Wealth. 🥣

🌍🌏 ধুবুলিয়া ঃঃ THE FORGOTTEN AIRPORT OF WORLD WAR2 [ পর্ব =১৫ ]

THE FORGOTTEN AIRPORT OF WW 2 পর্ব = ১৪🧧