THE FORGOTTEN AiRPORT OF WORLD WAR 2" [ একাদশ পর্ব ]
:: THE FORGOTTEN AiRPORT OF WORLD WAR 2"
একাদশ পর্ব ]
War is Complex Business
সবচেয়ে কষ্টকর ব্যপার কি জানিস পাপ্পু !!
ধর, এই যে এতো গরীব সাধারণ ভারতীয় মানুষগুলো দিনরাত পরিশ্রম করে এই সমস্ত এয়ারপোর্ট গুলো তৈরী করলো, তাদের এই পরিশ্রমের কিন্তু কেউ কোনো মূল্য দেয় নি. তাঁদের নিয়ে না আছে কোনো লেখা, না আছে কোনো চৰ্চা, আর না আছে কোনো ডকুমেন্টস ।
আসলে এদের ইতিহাস কেউ মনে রাখেনি প্রয়োজন ও মনে করে নি ।
তাই সবটাই কালের গর্ভে বিলীন হয়েগেছে. আমারা আর কখনই এই সব মানুষদের দুঃখ, কষ্ট ও পরিশ্রমের কথা জানতে পারবো না !!!
ধর, এই যে এতো গরীব সাধারণ ভারতীয় মানুষগুলো দিনরাত পরিশ্রম করে এই সমস্ত এয়ারপোর্ট গুলো তৈরী করলো, তাদের এই পরিশ্রমের কিন্তু কেউ কোনো মূল্য দেয় নি. তাঁদের নিয়ে না আছে কোনো লেখা, না আছে কোনো চৰ্চা, আর না আছে কোনো ডকুমেন্টস ।
আসলে এদের ইতিহাস কেউ মনে রাখেনি প্রয়োজন ও মনে করে নি ।
তাই সবটাই কালের গর্ভে বিলীন হয়েগেছে. আমারা আর কখনই এই সব মানুষদের দুঃখ, কষ্ট ও পরিশ্রমের কথা জানতে পারবো না !!!
হ্যাঁ !! তুমি একদম ঠিক কথা বলেছ !!
যাদের বাড়ি ঘর ভেঙে এই সব এয়ারপোর্ট গুলো নির্মাণ করা হয়েছিল তাদের কি কোনো রকমের ক্ষতিপূরণ দেবার ব্যবস্থা ছিলো কি ??
দেখ, সরকারি নথিপত্র অনুসারে সামান্য হলেও কম্পেনসেশনের ব্যবস্থা করা ছিলো. কিন্তু সমস্যা কি জানিস এই সামান্য টাকাটাও এদের হাতে পৌঁছাত না.
বেশিরভাগ অংশটাই মধ্যেসত্তভোগীরা আত্মসাদ করে নিতো.
ঠিক এখন যেমন হয় !!!
এদের কষ্ট এখানেই শেষ নয়, এয়ারপোর্ট তৈরী হবার পরে এই সব এলাকায় ম্যালেরিয়া ও কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব ছিলো একপ্রকার নিশ্চিত , যার ফলে হাজার হাজার সাধারন ভারতীয় মারা যেতো.
খুবই দুর্ভাগ্যজনক দাদা !!!
পাপ্পু বলে উঠলো !!
হ্যালো !!! গুড এভেনিং !!!
কি দুর্ভাগ্যজনক আমাদের ও একটু বলো না !!!
দেখি আমাদের আরো দুই জন সদস্য গোপাল আর রজত হাজির.
আসলে আজকে প্ল্যান হয়েছে যে, আমার সবাই ধুবুলিয়া এয়ারপোর্টের দুটো পরিত্যক্ত কস্ট্রাকশন দেখতে যাবো!
ATC টাওয়ার ও বৃহৎ আকৃতির গোল গোম্বুজ ঘর.
ঠিক আছে ! চল !!!
হাঁটতে হাঁটতে বাকিটা বলবো .
হম, হম !!! সেটাই ঠিক হবে চলো চলো !!!
একসাথে সবাই বলে উঠলো !!!
আচ্ছা যেটা আগের দিন বলছিলে, " Operation U -Go " সেটার সম্পর্কে একটু ডিটেলসে বলো,
মানে ঠিক কি হলেছিলো !! আর এই লড়াই এ আজাদ হিন্দ বাহিনীর ভূমিকা কি ছিলো ?? পাপ্পু বললো !!
বলবো বলবো !!
কিন্তু তার আগে আরো একটা গুরুত্ব পূর্ণযুদ্ধের কথা তোদের শোনা দরকার.এর আগেও কি জাপান ভারত দখলের চেষ্টা করেছিলো ?? সবার মুখে কৌতূহল !
হম করেছিলো তো !
তবে এটা I. J. A [ Imperial Japan Army ] করেনি,
করেছিলো " ইম্প্রেয়াল জাপান নেভি ' বা I. J. N.
এদের লক্ষ ছিল সমুদ্র পথে ভারত দখল করা!
যার কোড নাম " Operations - C "
" Operation Indian Ocean Raid "
এই গল্পটা তোদের আগে জানা দরকার !
ওকে বলো !!! সবাই বলে উঠলো,
হম বলছি তাহলে,
মন দিয়ে শোন !
১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারী মাস নাগাদ ইম্পেরিয়াল জাপান নেভি ভারতের আন্দাবান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নেয়!
জাপান নেভি এখানেই থেমে থাকে না !!
তারা পরবর্তী লক্ষ Bay Of Bengal উপরে সম্পূর্ণ আধিপত্য স্থাপন ! তারপরে বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর কলকাতা ও কক্সবাজার আক্রমণ করে ধ্বংস করা এবং ধীরধীরে ভারতে মূল ভুখন্ডে পা দেওয়া. কিন্তু এই পুরো পরিকল্পনাটা মসৃণ ভাবে কার্যকরী করার জন্য সবার আগে দরকার 'ব্রিটিশ রয়েল নেভি ' এর Eastern Fleet বা Indian Ocean Fleet কে পুরপুরি ধ্বংস করা !
যারা তখন Ceylon বা Srilanka কে বেস করে ভারতের সমুদ্র পাহারা দিচ্ছে.
আর এটা না করতে পারলে ভারতের সমুদ্রের উপরে একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন কখনোই সম্ভব হবে না !
তাই J. I. N একটা সিক্রেট পরিকল্পনা তৈরী করে. পরিকল্পনাটা এরকম , জাপান আচমকা শ্রীলংকা আক্রমণ করবে ও দখল করে নেবে এবং Indian Ocean Fleet কে পুরোপুরো ধ্বংস করে দেবে .
যাকে বলে পুরোপুরি 'মাস্টার স্টোক' !!
এখানে একটা জিনিস মাথায় রাখবি যে, শ্রীলংকা হয়তো একটা ছোট দেশ কিন্তু অবস্থানগত দিকে ভীষণ ইম্পরট্যান্ট ! এখানে যাদের অধিকার থাকবে , তারা ইন্ডিয়ান ওসেন, আরব সি এবং বঙ্গ পো সাগর তিন সমুদ্রের উপরেই নজরদারি ও খবরদারি চালাতে পারবে !
বুঝতে পারলি !
হ্যাঁ !! তারপরে !!!
কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে, পরিকল্পনা যতক্ষন সিক্রেট থাকে ততক্ষন তার গুরুত্ব থাকে, জানাজানি হয়ে গেলে সেটা ব্যর্থ হবার সম্ভাবনা বেশি !
মানে ? এটা ব্যর্থ হয়েছিল !!
হ্যা !! ঠিক তাই!
আর কিভাবে সেটাই বলছি !!!
কি ভাবে ? গোপাল জানতে চাইলো !!
দেখ যুদ্ধের সময় সিক্রেট ইনফরমেশন বিভিন্ন সিম্বল, ছবি এই সব ব্যবহার করে পাঠানো হয় যাতে শত্রুদের হাতে পড়লেও তারা যেন এর মানে উদ্ধার করতে না পারে ! সব দেশই এটাই করে !
আর সব দেশের একটা নিজস্ব ডিপার্টমেন্ট থাকে যাদের কাজ দিন রাত পরিশ্রম করে শত্রু পক্ষের এই গোপন কোড সিগন্যাল ক্যাপচার করা এবং সংকেতের মানে উদ্ধার করা !
এই সময় জাপান নেভি যে সিক্রেট কোড ব্যবহার করছিলো ছিলো তার নাম J N25" !
ব্রিটিশ টীম যাদের কাজই ছিলো দিনরাত এই সমস্ত কোড গুলো ক্যাপচার করে তার আসল মানে উদ্ধার করা ! জানিস তো টিমের বেশিরভাগ সদস্য ছিলো মহিলা. রীতিমতো পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ দিয়ে পাস করে তবেই এই ডিপার্টমেন্ট এ কাজ পাওয়া যেতো. এদের পুরো কাজটাই হতো অত্যন্ত নিখুদভাবে ও গোপনে.
১৯৪২ সালের মার্চ মাসে সকালে বেলায় হটাৎ এই টিম একটা জাপানি সিক্রেট "কোড সিগন্যাল " ইন্টারসেপ্ট করে ফেলে. আর সেটা হল Ko-ro -n -bo "
এর মানে কি স্যার ?
রজতের মুখে বিশ্বয় !!!"Its Means Colombo Itself Was Next Target " !!
। ক্রমশ ।
এটা একটা ধারাবাহিক ভাবে বর্ণিত গল্প ।
তাই বাকি পর্ব গুলো দেখার আবেদন থাকলো ।
ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন ।
THANK U TO ALL "
R.SUBHRO "
All writings and other content here are entirely the author's own.Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.




মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন