THE FORGOTTEN BATTLE GROUND OF WORLD WAR 2 "
!!!!! ধারাবাহিক ভাবে বর্ণিত রচনা !!!!
আমরা মসজিদ মাঠে ভিডিও শুট করার জন্য সবাই সকাল সকাল জড়ো হয়েছি ,আলোচনা করছি ,এই সময়ে পাপ্পু আমাকে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ব্যবহার হওয়া একটা গাড়ির কথা বলে যেটা নাকি এখনো ধুবুলিয়াতে একটা বন্ধ ঘরে আটকে পরে আছে । আমি শুনে আবাক হলাম এবং এই গাড়িটা দেখার সিধান্ত নিলাম.........তারপরে
সেদিন খুবই গরম ছিলো. তাই এই প্রচন্ড গরম আর রোদের মধ্যে আমরা বেশি ক্ষণ ফাঁকা মাঠে থাকতে চাইছিলাম না.
পুরো এলাকা জঙ্গল কোনো রাস্তা নেই.
লম্বা অনেক গুলো ছোট ছোট ঘর, গ্যারেজ বলা যায়.
আর সব ঘর গুলোর সামনে বড়ো বড়ো তালা ।
ভিতরে কিছু একটা আছে বোঝা যাচ্ছে . কিন্তু পরিষ্কার বোঝা উপায় নেই ,
পাপ্পু কিছুই তো দেখা যাচ্ছে না...!!!!!
ভিডিওট তুলবো কি ভাবে? বললাম !!!!
তাহলে এক কাজ করি চলো পিছন দিক দিয়ে ঢুকি.
বাড়িটা ব্যাক সাইড একই রকম ঘন জঙ্গলে ভর্তি ।
বললাম !!! পাপ্পু আমি ইট সরিয়ে ভিতরে গাড়িটা দেখতে চাই ।
তুই ও চল আমার সাথে।
ওকে !!!!!!
গাড়িটা একটা DORGE COMPANY এর D15 GS Tipper Truck.
( Dorge কোম্পানির Logo এখনো এই গাড়িতে আছে )
কোম্পানিটি আমেরিকান এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর প্রয়োজনে এই কোম্পানির ট্রাক ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়েছিল. মিলিটারি ট্রান্সপোর্ট করা ছাড়াও.
ওরা হেরিটেজকে ভালোবেসে !!! ঐতিহ্য কে সন্মান করে,
সবার মুখে কৌতূহল!
কি ব্যাপার!! কি হচ্ছে???
এই ভাঙা বাড়িতে !!
ছবি কেন তোলা হচ্ছে ?
অকশন হবে নাকি ????
ইত্যাদি ইত্যাদি !!!! আরও অনেক !!
বুঝলাম সবার ধারণা যে, গাড়িটা অকশন করা হবে !!!
এই গাড়িতে সম্ভবত ওয়াটার বা পেট্রল জাতীয় জিনিস বহনের কাজে ব্যবহার করা হতো )
এর বাম দিকে একটা ওয়াটার বা পেট্রল রিজার্ভ ট্যাংক এর ভগ্ন নিদর্শন এখনো পরিষ্কার ভাবে বর্তমান।
চোখ বন্ধ করে পুরো জায়গায়টা নিয়ে ভাবলে তাহলে বুঝতে অসুবিধা হয় না.. ধুবুলিয়া এয়ারপোর্ট এর ভীষণ ইমপর্টেন্ট একটা জায়গা ছিলো ।
(ক্রমশঃ)
All writings and other content here are entirely the author's own.
Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.
আমরা মসজিদ মাঠে ভিডিও শুট করার জন্য সবাই সকাল সকাল জড়ো হয়েছি ,আলোচনা করছি ,এই সময়ে পাপ্পু আমাকে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ব্যবহার হওয়া একটা গাড়ির কথা বলে যেটা নাকি এখনো ধুবুলিয়াতে একটা বন্ধ ঘরে আটকে পরে আছে । আমি শুনে আবাক হলাম এবং এই গাড়িটা দেখার সিধান্ত নিলাম.........তারপরে
" THE FORGOTTEN BATTLE GROUND OF WORLD WAR 2 "
( পর্ব = 07 তম )
( পর্ব = 07 তম )
মসজিদ মাঠ :: সকাল ১১ টা !
আমাদের সমস্যাটা ছিলো খুবই সাধারণ.....!!!!!!!
আসলে ইন্ট্রোটা কিছুতেই আমাদের মন মতো হচ্ছিলো না. বুঝতে পারছিলাম না শুরু টা কিভাবে করা যাবে। যাইহোক কয়েক শুট করে খুব তাড়াতাড়ি . ব্যাপার টা মিটেয়ে ফেললাম .
এইখানেই প্রথম আমি একটা পুরানো মিলিটারি ট্রাক এর কথা শুনি.
যেটা নাকি একটা বন্ধ ঘরে পরে আছে. !!!
"THE D15 -GS TIPPER TRUCK OF
DORGE COMPANY"
আচ্ছা দাদা!!
তুমি তো ব্রিটিশ আমলের গাড়িটার ভিডিও করতে পারো.' তাহলে সবাই এর সম্পর্কে জানতে পারবে!!
বনি কথা তে আমি কিছুটা বিস্ময় বোধ করলাম .
' আর ধুবুলিয়া তে ??
সত্যি ??
তাই নাকি!!!!!
যাব !!!! কিন্তু খুবই সাবধানে জায়গাটা পুরো জঙ্গল,
সাপ থাকতে পারে.
হুম বুঝলাম, ঠিক আছে !!!!
চল না, গিয়ে তো দেখি তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা .
যদি এরকম সত্যি কিছু থাকেতাহলে তো আমি অবশ্যই
দেখবো.
এটা একটা হেরিটেজ!!!
আর সাপ- টাপ আমি ভয় পাই না .
জায়গাটা পোঁছে , হতাশ হলাম !!!
বনি কথা তে আমি কিছুটা বিস্ময় বোধ করলাম .
' ব্রিটিশ আমলের গাড়ি!!!!
সত্যি ??
কখনো তো শুনিনি!!! আমার অবাক হবার পালা.
চল তো দেখি.
সাপ থাকতে পারে.
হুম বুঝলাম, ঠিক আছে !!!!
চল না, গিয়ে তো দেখি তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা .
যদি এরকম সত্যি কিছু থাকেতাহলে তো আমি অবশ্যই
দেখবো.
এটা একটা হেরিটেজ!!!
আর সাপ- টাপ আমি ভয় পাই না .
চল!!!!
পুরো এলাকা জঙ্গল কোনো রাস্তা নেই.
লম্বা অনেক গুলো ছোট ছোট ঘর, গ্যারেজ বলা যায়.
আর সব ঘর গুলোর সামনে বড়ো বড়ো তালা ।
ভিতরে কিছু একটা আছে বোঝা যাচ্ছে . কিন্তু পরিষ্কার বোঝা উপায় নেই ,
ভিতরটা পুরোপুরি অন্ধকার।
ভিডিওট তুলবো কি ভাবে? বললাম !!!!
তাহলে এক কাজ করি চলো পিছন দিক দিয়ে ঢুকি.
বাড়িটা ব্যাক সাইড একই রকম ঘন জঙ্গলে ভর্তি ।
কিন্তু দূর থেকে একটা ভাঙা পার্ট দেখতে পেলাম. যেখানে কিছু একটা দেখা যাচ্ছে!!
দ্রুত ডিসিশন নিলাম !!!! এখানে থেখেকেই আমার নেক্সট শুট টা নেওয়া হবে ।
তুই ও চল আমার সাথে।
ওকে !!!!!!
কিন্তু খুবই সাবধানে সাপ থাকতে পারে ।
গাড়িটা একটা DORGE COMPANY এর D15 GS Tipper Truck.
( Dorge কোম্পানির Logo এখনো এই গাড়িতে আছে )
কোম্পানিটি আমেরিকান এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর প্রয়োজনে এই কোম্পানির ট্রাক ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়েছিল.
এয়ারফোর্স এর বিভিন্ন একুপমেন্ট, যেমন ফুড, ওয়াটার, পেট্রল সব রকমের ট্রান্সপোর্ট এর প্রয়োজনে এই ট্রাক বহুল রিমানে ব্যবহার করা হয়েছিল।
ঘরটির পিছনদিকে ,ভাঙ্গা অংশ থেকে গাড়িটা দেখা যাচ্ছে ।
কিন্তু এখানে গাড়িটা এখন খুবই খারাপ অবস্থায় পরে আছে !!
সেটাই স্বাভাবিক কারন ৭৭ বছর পার হয়ে গেছে ।
শুনেছি বিদেশের বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের বিভিন্ন জিনিস ওরা মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রেখেছে...!! মানুষ টিকিট কেটে দেখতে যায় এই সব পুরনো সংরক্ষিত জিনিস দেখতে। স্কুল ও কলেজ এর স্টুডেন্ট দের ও শিক্ষা মুলক ভ্রমন এ এইসব গুলো দেখানো হয় !
এর গুরুত্ত ও বোঝে । চায় পরবর্তী জেনারেশন এগুলো জানুক ,পড়ুক ও ভালবাসুক ।
আর এই সব বোধহয় ওদের পক্ষে ই সম্ভব...!!!
আমাদের নয়.
আমরা যখন ভিডিও তুলছিলাম , তখন আসে পাশে হটাৎ ভিড় জমে যায়।আমাদের নয়.
সবার মুখে কৌতূহল!
কি ব্যাপার!! কি হচ্ছে???
এই ভাঙা বাড়িতে !!
ছবি কেন তোলা হচ্ছে ?
অকশন হবে নাকি ????
ইত্যাদি ইত্যাদি !!!! আরও অনেক !!
বুঝলাম সবার ধারণা যে, গাড়িটা অকশন করা হবে !!!
খুব কষ্ট করে হাসি চেপে রাখলাম !!!! ( আমার অনুমান
✨️ বাড়িটি লম্বা , উপরে টিনের ছাদ. সামনের দিকে অনেক গুলো গেট. স্বাভাবিক ভাবে বোঝা যায় যে অনেক গুলো গাড়ি একসময় একসাথে থাকতো. শুধু তাই নয় এটা ও বোঝা যায় যে গাড়ি রাখার জন্যই এই বিল্ডিং টা নির্মাণ করা হয়েছিল.
এর সামনের দিকে একটা বিরাট বড়ো এবং ডান পাশে আরও একটু দূরে দুটো বড়ো বড়ো গোডাউন এখনো আছে . যেগুলি সবই সেই সময়ের ইতিহাস বহন করে চলছে।
চোখ বন্ধ করে পুরো জায়গায়টা নিয়ে ভাবলে তাহলে বুঝতে অসুবিধা হয় না.. ধুবুলিয়া এয়ারপোর্ট এর ভীষণ ইমপর্টেন্ট একটা জায়গা ছিলো ।
(ক্রমশঃ)
বাকিটা পরের পর্বে
Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.








মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন