THE FORGOTTEN BATTLE GROUND OF WORLD WAR 2. ( 0৮ = তম পর্ব )
: ধারাবাহিক ভাবে বর্ণিত একটি রচনা ::
ধুবুলিয়া,
THE FORGOTTEN BATTLE GROUND OF WORLD WAR 2.
( 0৮ = তম পর্ব )
"আচ্ছা দাদা !!! আমাদের এই ধুবুলিয়াতেই হটাৎ এরকম একটা এয়ারপোর্ট প্রয়োজন কেন হলো ?
আর কেন বা এটা বন্ধ হয়ে গেলো?প্রশ্নে শুনে মূখ তুলে তাকালাম!!পাপ্পু আর বনি মুখে এক রাশ কৌতূহল!!!বললাম দেখ!!এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আমাদের কিছুটা সময় পিছিয়ে যেতে হবে ।.( টাইম ট্রাভেল করতে হবে ☺️)ফিরে যেতে হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর সময়!!!
সময়টা 1942 সালের প্রথম দিক. যখন অপ্রতিরোধ্য জাপান ইম্পেরিয়াল আর্মি. লড়াইয়ের ময়দানে ব্রিটিশ বাহিনী পরাস্ত ও বিতাড়িত. একে পর এক তাদের হাত ছাড়া হয়েছে মালয়, ডাচ ইস্টইন্ডিজ, এবং সিঙ্গাপুরে মতন গুরুত্ব পূর্ণ অঞ্চল. জাপান ইম্প্রেয়াল আর্মির পরবর্তী লক্ষ্য ব্রিটিশ কলোনী বার্মা এবং তারপরে ইন্ডিয়া।
আর ইংল্যান্ড বা মিত্র বাহিনীর ভরসা ( তাদের একমাত্র লাইফ লাইন ) ষ্টিলওয়েল রোড বা লেডো রোড । ( জেনারেল জোসেফ ষ্টিলওয়েলের নামে. প্রায় 1726 KM ভারতের আসামের লেডো থেকে বার্মা হয়ে চীনের কুনমিন পর্যন্ত )
এই এয়ার সুপারিয়াটি জন্য একদিকে যেমন দরকার ফাইটার এয়ারক্র্যাফট , তেমনি অন্য দিকে দরকার যথেষ্ট পরিমানে ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফটের ও । এই ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট আকৃতিতে অনেক বড়ো হয়. ( এই কাজে ধুবুলিয়া এয়ারপোর্টে তে 'C17 GLOBE MASTER' মডেলের প্লেন ব্যবহার করা হতো)
ফলে এরা একদিক যেমন যুদ্ধের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ঔষদ, খাদ্য দ্রব্য যেমন দুর্গম স্থানে পোঁছে দেবে।( যেখানে পায়ে হেটে পৌঁছানো প্রচুর সময় সাপেক্ষ )তেমনি যুদ্ধে আহত ও অসুস্থ ব্যক্তি দের সরিয়ে আনবে নিরাপদ স্থানে. যেকোনো পরিস্থিতিতেই. তাই দরকার প্রচুর পরিমানে লজিস্টিক এয়ারপোর্টের তৈরী করা। এই ঐতিহাসিক পেক্ষাপটের প্রয়োজন থেকেই জন্ম ধুবুলিয়া এয়ারপোর্টের. (ফাঁকা এবং অপেক্ষাকৃত অনেক দূরে অবস্থিত নিরাপদ জায়গা তাই হয়তো )
কি এবারে বুঝতে পারলি ? আমি বললাম!!নিশ্চই!!! এয়ার পোর্টের বিষয়ে এত ডিটেলস জানা ছিলো না.দারুন!!!আমি ভীষণ এক্সসাইটেড ফিল করছি।আচ্ছা, আরো একটা প্রশ্ন!!!এটা বন্ধ হলো কেন ???স্মিত হেসে বললাম এই উত্তরটা পরের দিনের জন্য তোলারইলো!!ওকে দাদা.Anyway Thanks For The Information!!
এবারে আবার আমরা টাইম ট্রাভেল করে আজকের মূল কাহানিতে এ ফিরি. আমারা ভাঙা গ্যারাজ পিছনে দিকে গাড়িটার অনেক গুলো ছবি এবং ভিডিও তুলে নিলাম. দেখলাম এই ভাঙা বিল্ডিং এ ডোর্জ কোম্পানির ট্রাকটা ছাড়াও আরো একটা পুরানো জিপ আছে. .
যাইহোক যেটা আগে উল্লেখ করে ছিলাম ভাঙা বিল্ডিং এর সামনের দিকে একটা বিরাট বড়ো গোডাউন এবং ডান পাশে একটা ওয়াটার রিজাভার এখনো আছে. সব গুলিই একই রকমেম কনস্ট্রাকশন প্ল্যানে নির্মিত.মনে মনে ঠিক করিনিলাম সব কিছুই ছবি নেবো .লক্ষ করলাম ওয়াটার রিজাভারটা সিমেন্ট দিয়ে বেশ মজবুত ভাবে বাঁধানো.আরো দেখলাম এর গায়ে জল বেরিয়ে আসার লোহার পাইপ এখনো উঁকি . এই ট্যাংক এর নিচের পার্ট অর্ধচন্দ্র আকৃতির. অনুমান করলাম এটা হয়তো একসময় অনেকটাই উঁচু ছিলো. এখন কালের নিয়মে কিছুটা মাটিতে বসে গেছে।
️ সামনের বড়ো গোডাউন::
গোডাউনটা বিশাল আকৃতির এবং অনেকটাই উঁচু.দেখলাম দরজার মজবুত তালা. খুবই ইচ্ছে হচ্ছিলো ভিতরে উঁকি মেরে দেখার. কিন্তু আসলে কোনো সম্ভাবনা ই নেই. দেখার।এই সব জায়গা গুলোতে এসে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিলো . মনে হচ্ছিলো এর সামনে দিয়ে কতো বার গিয়েছে কিন্তু কখনো এতো ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখিনি. যদি ভিডিও বানানো কথা না ভাবতাম তাহলে হয়তো এগুলো এই ভাবে দেখতেই পেতাম না.সত্যিই জানিনা এই সব হেরিটেজ জিনিস গুলো আর কতো দিন টিকে থাকতে পারবে
ক্রমশঃ
বাকিটা পরে !!!
আমাদের এই লেখা গুলো কেমন লাগছে কমেন্ট করে জানান। এটা একটা ধারাবাহিক রচনা, তাই পরবর্তী পর্ব গুলো পরার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হছে ।
AUTHORITY
R. SUBHRO SCAPBOOK .
All writings and other content here are entirely the author's own.
Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.








মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন