The Forgotten Battle Ground Of World War 2. (৯ তম পর্ব)
:: ধারাবাহিক ভাবে রচিত ::: (৯ তম পর্ব)
The Forgotten Airport Of World War 2.
সেদিন বাড়ি ফেরার আগে মনে মনে ঠিক করেনিলাম ,
পরের দিন খুব সকালে আমারা ধুবুলিয়া রানওয়ে টা শুট
করবো.
ভাবছি কাল সকাল বেলায় রানওয়ে ভিডিও নেবো!!!
তুই আসবি নাকি ?
আরে আসবি মানে, আলবাত আসবো!!
তুমি জানো না আমি এই ব্যাপারে কতটা উৎসাহ পাচ্ছি.
কখন যাবো শুধু বোলো!
বললাম ফোন করবো!
পাপ্পু ভীষণ উৎসাহী কণ্ঠে উত্তর দিলো!
ওকে!
নেক্সট ডে :::
5.22 AM Approximately
বিরাট ডিম্বাকৃতি রানওয়ে :::
সুন্দর সকাল !! হাল্কা ঠান্ডা হাওয়া বয়ে চলছে.
মনে চনমনে ভাব এনেছে.
বললাম কি পাপ্পু সকালে কেমন লাগছে !
কেমন ফিল করছিস?
দারুন! তবে কেমন যেনো একটু নস্টালজিক ফিল করছি.
এটা ভাবতেই অবাক লাগছে আজকে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, কোনো একসময় এখানেই গম গম করতো ভারী ফৌজি বুটের আওয়াজ !
চারিদিকে কি ব্যাস্ততা, ছুটো ছুটি.
কিন্তু আজকে সব শান্ত, নিঃস্তব্দ.
ভাবতেই কেমন লাগছে,
এতো বড়ো একটা কনস্ট্রাকশন, তৈরী করা হলো
কিন্তু হটাৎ করে বন্ধ ও হয়ে গেলো.
এই প্রশ্ন টা আমাকে ভীষণ ভাবে নাড়া দিচ্ছে !!!!!
বললাম দেখ !!!! যখন কোনো জিনিস বন্ধ হয়ে যায়, তখন বুঝতে হয় যে তার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে.
হুম, সেটা টো বুঝলাম,
কিন্তু যদি এতো তাড়াতাড়ি এই এয়ার পোর্টের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবার ছিলো তাহলে এতো যত্ন করে, কষ্ট করে এতো বড়ো জায়গা জুড়ে এই বিরাট মজবুত কনস্ট্রাকশন নির্মাণ করার দরকার বা কি এমন ছিলো?
এটা সম্পূর্ণ একটা খামখেয়ালি ব্যাপার ??
হেসে বললাম, দেখ, এই এয়ার পোর্ট তৈরী বা বন্ধ ব্যাপার টা ভালো ভাবে বুঝতে হলে আমাদের সেই সময়ের পরিস্থিতি টা ভালো করে জানতে হবে.
যেমন ??? পাপ্পু কৌতূহল মুখে তাকালো !!
তাহলে শোন !!!!!
আগের দিন যা বলেছিলাম !!
1942 সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সিঙ্গাপুর এবং মার্চ মাসে বার্মার রাজধানী রেঙ্গুন জাপান ইম্পেরিয়াল আর্মি দখল করে নেয়. ব্রিটিশ এডমিস্ট্রেশন পালিয়ে ইন্ডিয়া চলে আসে.
কিন্তু তারা চুপিচুপি নিজেদের শক্তিশালী করতে শুরু করে.
1943 সালে মিত্রশক্তি ব্রিটেনের নেতৃত্ব গঠন করে South East Asia Command বা SEAC নামে একটা শক্তিশালী বাহিনী. যার নেতৃত্বে থাকেন লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন!
' লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ' নামটা খুব শোনা শোনা !!
আচ্ছা ,ইনি কি সেই শেষ ভাইসরর যার সময় ভারত স্বাধীনতা লাভ করে!!
একদম ঠিক বলেছিস .
আচ্ছা আচ্ছা !!!!! তারপরে কি হলো?
অন্য দিকে ঠিক এই সময় ব্রিটেনের সহযোগী আমেরিকা চীনের যুবকদের ট্রেনিং দিয়ে তৈরী করলো Northern Combat Area Command বা NCAC নামে আরো এক বিরাট শক্তিশালী বাহিনী.
যার নেতৃত্বে জেনেরাল জোসেফ ষ্টিলওয়েল. যার কথা আগেই বলেছি.
পরে এই দুটো বাহিনীর সাথে যুক্ত হয় আরো দুটো ইন্ডিয়ান রেজিমেন্ট, (XV এবং IV কর্পস)
যারা এই যুদ্ধে ব্রিটিশ দের হয়ে লড়াইতে অংশ গ্রহণ করেছিলো .
আর এই গ্রাউন্ড ফোর্স কে সাহায্য করার জন্য এই সময় ব্রিটেন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তরী করতে থাকে প্রচুর এয়ার বেস. কারণ ! আমরা জানি যে বার্মা যুদ্ধ জিততে হলে দরকার এয়ার সুপারিয়াটি. তাই ভারতের 1943 থেকে 1944 মধ্যেই এই এয়ার পোর্ট গুলো সব তৈরী করা হয়.
এই গুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে আমাদের এই ধুবুলিয়া এয়ার পোর্ট.
যেটার কাজ শেষ হয় 1944 সালে !!!
আচ্ছা , জাপান কি এগুলো কিছুই জানতে পারেনি?
একদম না!!
জাপান ইন্টালেজেন্স কাছে এগুলো সব ই
মোটামুটি জানা ছিলো. তারাও চুপ করে বসে ছিলো না.
তারাও বুঝতে পারে ইন্ডিয়া দখল না করা পর্যন্ত. শান্তি নেই.
1944 সালে মার্চ মাসে জাপান ইম্পেরিয়াল আর্মি ইন্ডিয়া জয় করার জন্য একটা ডেডলি মাস্টারপিস এটাকিং প্ল্যান তৈরী করে.
যার কোড নাম 'Operations U-GO'.
এটা জাপান ইম্প্রেয়াল আর্মির Lieutenant General Renya Mutaguchi মস্তিস্ক প্রসূত পরিকল্পনা. যার উপরে আমাদের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের একটা বিরাট প্রভাব ছিলো.
এই লড়াই এ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এবং আজাদ হিন্দ বাহিনী জাপানের পক্ষ নিয়ে সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছিল. ব্রিটেনের ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে খুবই বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিলো !!!
এই অপারেশন এর মূল লক্ষ ছিলো ভারতের নর্থ ইস্ট অংশ মনিপুর এবং নাগাল্যান্ড ভিতরে দিয়ে ঢুকে বাম্ভপূত্র নদী উপতাকা সহ সমগ্র আসাম দখল করা.
( Actually Captured Main Administrative Part Of All North East Province Of British India )
এটা ছিলো একটা নির্ণয়ক লড়াই এবং জাপান ইম্পেরিয়াল আর্মির লাস্ট অ্যাট্যাকিং ওয়ার ইন ওয়ার্ল্ড ওয়ার ২ !!
এই যুদ্ধ এবং পরের সমস্ত লড়াই তে এ ধুবুলিয়া এয়ার পোর্ট ব্যবহার করা হয়েছিল!
✨️ কথা বলতে বলতে হটাৎ চারপাশে খেয়াল করি,
একটা জটলা মতন হচ্ছে.
কথা বলতে অনেক কখন যে এতো ভিড় হয়েগেছে আগে খেয়াল করিনি! আসে পাশের সবারই কৌতূহল এরা এতো সকাল কামেরা নিয়ে এখানে
কি করছে !!!
কৌতুহলি ভিড় ক্রমশ বাড়ছে !!!!
পাপ্পু বলল, চলো তো আমরা অন্য কোথাও যাই !!
আর আমি এই লড়াই এ আজাদ হিন্দ বাহিনীর ভূমিকা টা আরো ডিটেলস এবং ভালো করে জানতে চাই !!!
ওকে! ঠিক আছে
চল বলছি !!!!
ক্রমশঃ
🧭 কমেন্ট করে জানান আপনাদের কেমন লাগছে লেখা গুলো।
ভাল লাগলে অনুগ্রহ করে এই ধারাবাহিক লেখা গুলোশেয়ার কারুন যাতে সাবাই পরতে পারে ও জানতে পারে।
পরের পর্ব গুলি পড়ার জন্য এঈ ব্লগটী 'বুক মার্ক ' করে রাখুন !!!
ধন্যবাদ সবাইকে !!!
Authority " R. Subhro
All writings and other content here are entirely the author's own.
Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.
Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.





Nice explanation
উত্তরমুছুন🙏 ধন্যবাদ !!!
উত্তরমুছুন