THE LAST IMPERIAL SOLDIER OF JAPAN . [ দ্বিতীয় পর্ব ]
HIROO ONODA ,
THE LAST IMPERIAL SOLDIER OF JAPAN
[ দ্বিতীয় পর্ব]
HIROO ONODA ON LUBANG , 1974
বুঝতেই পারছিস একটা এক অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস লড়াই ,একদিকে মাত্র চার জন জাপানি সৈন্য আর অন্য দিকে ৫ হাজারের বেশি আমেরিকান সৈন্য এবং তাদের সহযোগী লোকাল মিলিটারি.
ভাবতে পারছিস ভিক্টর দা মুখটা উপর দিকে তুলে বলে উঠলো ! সামনে শীত কাল আসছে, তাই চারপাশে কেমন একটা ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজ সৃষ্টি হয়েছে, হটাৎ করে বিকেলের আকাশে একটা নরম আলোর পলেপ পড়েছে. পরিবেশ টা খুব ভালো লাগছে ওদের !
শন কিছুটা অস্থির হয়েই জিজ্ঞাসা করে, " তারপরে কি হলো " ?
খুব নিচু স্বরে ভিক্টর দা বলল,
জানিস তো একটা কথা আছে " বুদ্ধি যার বল তার ".
ONODA এবং তার বাকি তিন জন সহযোগী [ Akastu, Shimada এবং Kozuka ] লুবাং আইল্যান্ড এর জঙ্গলে লুকিয়ে গেরিলা ওয়ার শুরু করে দেয় . তাদের লক্ষ , Never Surrender At Any Cost. They Were Heavily Trained Fighter, Specially HIROO ONODA'.
নিশো কৌতূহল মুখে জানতে চাইলো !
একটু থেমে ভিক্টর দা বলল, ঠিক গেরিলা যুদ্ধ যেরকম হয়, যেমন ধর প্রথমে শত্রু কে সব সময়ে লক্ষ করা এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকা আর সুযোগ হলেই আকস্মিক আক্রমণ করা এবং দ্রুত জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়া !
জানিস তো , আমেরিকানরা প্রথম দিকে এই ব্যাপারটা এতটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি, তারা ভেবে ছিল এটা ছিল একটা বিচ্ছিন্ন লঘু ঘটনা ! তাছাড়া, যেহেতু এই সময়ে যুদ্ধে তারা বিজয়ের আসনে অধিষ্ঠিত সেই জন্য গুরুত্ব না দেবার একটা আত্মগরিমাও তাদের মধ্যে কাজ করছিলো ! !
তাদের মতে যেকজন জাপান সৈন্য ধরা না দিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে গেছে তারা নয় জঙ্গলে মারা পড়বে অথবা খুব তাড়াতাড়ি তাদের কাছে এসে আত্মসমর্পর্ন করবে !
কিন্তু যত দিন অতিবাহিত হতে লাগলো তাদের ভুল ভেঙে গেলো !
কারণ কেঊ আসলো না ।।
অন্যদিকে মাঝে মাঝেই অনডা এবং তার সহযোগীরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে আচমকা আক্রমণ করে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করতো ! খুব তাড়াতাড়ি তাদের ধরার জন্য .
জঙ্গলে সার্চ পার্টি পাঠানো হলো অনডা .
যদিও আমেরিকানদের কাছে পরিষ্কার কোনো ইনফরমেশন ছিলো না যে , ইম্পেরিয়াল জাপানী আর্মির ঠিক কত জন সৈন্য এই জঙ্গলে লুকিয়ে আছে !
আর লুবাং এর জঙ্গল একটা ভয়ঙ্কর গোলক ধাঁধা . এ খানে সাপকোপ তো ছিলই আর সঙ্গে ছিলো বিচিত্র সব পোকা মাকড় ও বিষাক্ত কীট পতঙ্গ .
" বাপ রে বাপ্ " !! অর্ক বলে উঠলো !
তারপরে ?
আমেরিকান ফোর্স যখনি জঙ্গলে ঢুকতো অনডা আর তার সাথী রা হওয়ার মতন মিলিয়ে যেতো. ফলে ধরা তো দূরের কথা তাদের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যেতো না. তাদের ধরার সব চেষ্টা ব্যার্থ হল !
ONODA যেহেতু দীর্ঘ সময়ে জঙ্গলে লুকিয়ে যুদ্ধে করার প্রশিক্ষন নিয়েছিলেন তাই তার কাছে জঙ্গলে জীবন যাপন করাটা খুব একটা কঠিন ছিলো না !
কিন্তু পরিস্থিতি চেঞ্জ হয় ১৯৪৫ সালে , যখন আমেরিকা জাপানের হিরোসিমা ও নাগাশাকি শহরের উপরে 'পারমাণবিক বোমা ' ফেলে ধ্বংস করে দিলো ! হাজার হাজার সাধারণ মানুষ মারা গেল । জাপান বিনা শর্তে আত্মসমর্পর্ন করল এবং ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হোল !
কিন্ত এই সব ঘটনা, লুবাং এর গভীর জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনডা এবং তার সঙ্গীরা কিছুই জানতে পারলো না, তারা ছিল বাকি পৃথিবী থেকে পুরোপুরি ডিটাচ !
তাদের দৃঢ়্ বিশ্বাস জাপান কখনো যুদ্ধে পরাজিত হতে পারেই না, Its Impossible, তাই তাদের নিতে কখনো কখনো সহযোদ্ধারা আসবেই ! তারা অপেক্ষা করবে এবং নিজেদের মতন লড়াই চালিয়ে যাবে , কিন্তু আমেরিকানদের কাছে কখনোই ধরা দেবে না.
দরকার পড়লে " Hara-Kiri " করে নিজেকে শেষ করে দেবো, কিন্তু জীবিত ধরা দেবে না !!
বুঝলি , ভিক্টর দা বললো !!
" হুম " বুঝলাম.
কিন্ত " Hara - Kiri " ! সেটা আবার কি ? শন দ্রুত ঘাড় কাত করে জিজ্ঞাসা করে !
ভিক্টরদা , মৃদু হেসে বলে, " রিলাক্স মাই ডিয়ার " . বলছি ,
এর সঙ্গে ইতিহাসের একটা কানেকশন আছে , তাই সবার আগে আমাদের জাপানের ইতিহাসটা সংক্ষেপে জানতে হবে !! আসলে কি জানিস , জাপানের সামাজিক , রাজনৈতিক ইতিহাসের মধ্যেই লুকিয়ে আছে জাপানীদের সৈনিকদের এই রকমের উচ্চমানের সিঙ্খলাপরায়ণতা ও কঠিন দেশপ্রেমতা বীজ !
" ওকে " ঠিক আছে আমাদের পুরো ব্যাপারটা বলো , ওরা সবাই কৌতূহলী চোখে ভিক্টর দার দিকে তাকায় !
ভিক্টরদা ওদের দিকে তাকিয়ে নিচু স্বরে বলে, " হুম ", তোরা নিশ্চই " Samurai " কথা শুনেছিস ?
" সা- মু- রা-ই " মানে মধ্যে যুগের সেই ভয়ানক যোদ্ধা সম্প্রদায় , উচ্চ স্বরে রিমঝিম বলে ওঠে, আমি কিছু দিন আগে একটা মুভি দেখেছি, '' THE LAST SAMURAI ".
"হুম " ঠিকই বলেছিস "সামুরাই" এখনো জাপানের একটা প্রপুলার কালচার .
এদের উপরে প্রচুর স্টোরি , মুভি, ডকুমেন্টারি, হয়েছে ! এদের নিয়ে অনেক গবেষণা ও হয়েছে ! এরা আসলে ছিলো জাপানের সামন্ত প্রভুদের " প্রাইভেট আর্মি " !
ইউরোপে মধ্যে যুগে ঠিক যেমন ছিলো "নাইট " বাহিনী. আর আমাদের দেশের জমিদারদের " লেঠেল বাহিনী " ! !
একজন " Samurai " কে " BUSHIDO " নামে এক প্রকার কঠোর নিয়ম - শৃঙ্খলা মেনে চলতে হতো ! আর HARA-KIRI বা SEPPUKU ব্যাপার টা হচ্ছে " A Ritual Suicide System Of Samurai. বলতে পারিস, " Samurai - Code Of Honor , " Die With Honor Rather Than Fell into the Hand Of Their Enemy .
আর ঠিক রকম ছিলো এই পদ্ধতিটা জানিস, ভিক্টরদা গম্ভীর গলায় জিজ্ঞাসা করলো ! ওরা নিজের পেট কেটে ফেলতো!
" মানে " অর্ক হতোভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো !
ব্যাপার টা হচ্ছে , প্রথমে হাটু ভাজ করে বসে তারপরে ধারালো অস্ত্রে দিয়ে আস্তে আস্তে বা দিক থেকে ডান দিকে পুরো Lower abdominal অংশটা ফালা করে কেটে ফেলা হতো , একেই হারাকিরি বা সেপ্পুকু বলা হতো !
" কি নিষ্ঠুর পদ্ধতি " রিমঝিম বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে পারলো না, পুরো ব্যাপারটা ভেবে ওর শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠছিলো !
ভিক্টরদা মুখ তুলে বললো, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়ে জাপানী সমর নায়কদের মধ্যে এই পদ্ধতি ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়েছিল !! এর ফলে তাদের পরিবার একটা উচ্চ সামাজিক সন্মান পাবে বলে তারা মনে করতো !
" বাপ্ রে পৃথিবীতে কতো কিছুই যে হয় " শন বলে উঠে !
আচ্ছা, তারপরে ??
হ্যা , এবারে আমাদের মূল গল্পে ফেরা যাক, বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার দুই মাস অতিবাহিত হয়েগেছে কিন্তু তখনো HIROO ONODA এবং বাকি কোনো জাপানী সৈন্য আত্মসমর্পন কোনো চিহ্ন নেই , ফলে আমেরিকান সেনাবাহিনী তরফ থেকে ঠিক করা হলো যে , প্লেন ব্যবহার করে পুরো লুবাং আইল্যান্ড উপরের লিফ্টলেট ছড়িয়ে আত্মসমর্পন করার সুযোগ করে দেওয়া হবে !
সেই অনুযায়ী ১৯৪৫ অক্টোবর মাসে প্রথম বার লিফ্টলেট ফেলা হলো , লেখা হলো, " The War Ended On 15 August, Come out From Jungle And Surrender ".
কিন্তু অনডা আর বাকি জাপানী সৈনিক দের মনে হলো এটা আমেরিকান একটা ফন্দি বা চাল, তাদের ধরার জন্য ! ফলে তারা কোনো গুরুত্ব দিলো না এবং ধরাও দিল না !
১৯৪৫ ডিসেম্বর মাসে আবার আমেরিকান B-17 বিমান থেকে লিফ্টলেট ফেলা হলো , কিন্তু এবারও কোনো কাজ হলো না !
এর পরে ১৯৫২ সালে জাপানের সরকারে তরফ থেকে আরো একবার চেষ্টা করা হয় , এবারে প্লেন থেকে ফ্যামিলি পিকচার, ফ্যামিলি লেটার্স ফেলা হলো, সেখানেও বলা হলো, " যুদ্ধ শেষ বাইরে বেরিয়ে এসো এবং আত্ম সমর্পন করো "
কিন্তু এবারেও কোনো কাজ হলো না !
১৯৫৪ সালে Shimada এবং ১৯৭২ সালে Kozuka ফিলিপিনেস পুলিশের গুলিতে মারা গেলো !
" ১৯৭২ সালে " মানে যুদ্ধ শেষ হবার ২৭ বছআর পরে ?
" মাই গড " আন বিলিভবলে ম্যাটার !
আর HIROO ONODA কি হলো ? বলছি বলছি, ভিক্টর ব দা হেসে বললো !
কযুকার মৃত্যু সাংবাদ জাপানে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করল ।
জাপানের মিডিয়া বলা হল , " IF Kozuko Still Been Alive On Lubang Until 1972 Then Perhaps ONODA Himself The Last Known Japanese Soldier Might Still Be Alive As Well.
জনগনের চাপে এবার জাপান সরকার
সার্চ পার্টি তৈরি করলেন , এবার ওণোডার নিজের ভাই , Shigeo Onoda এই সার্চ পার্টির সাথে লুবাং এ আসলেন .
" But They Found Nothing "
THE MYTH
তারপরে যা হয় আর কি, কিছু দিন পরে সবাই তাকে ভুলেই গেল, এমনকি তার পরিবারের লোকজন ও তাকে মৃত ভেবে নিল . Onoda Became Part Myth , Part Legend and Part Ghost To The Japanese People . যা বাবা, তারপর কি হল ?
"হম" বলতে পারিস একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটলো । একজনের মাথায় এই ব্যাপার টা গেথে গেল । সবাই ভুলে গেলেও সে কিছু তেই অনডা এর কথা ভুলতে পা্রছিল না ।
NORIO SUZUKI, An Adventurer , Explorer and a Little Bit Of Hippie Boy . তার দৃঢ়ও বিশ্বাস " অনডা এখনো বেঁচে আছেন "।
সে একাই অনডা কে খুজে বের করে জাপানে ফিরিয়ে আনার সিধান্ত নিল .
১৯৭৪ সালে সে একাই লুবাং আইল্যান্ড আসল অর্থাৎ ওয়ার শেষ হাবার ২৯ বছর পরে । He Found Onoda in Just Four Days .
অনডা তার সামনে আসলেন কারন, তিনি পরে বলেছিলেন যে সুযুকির পায়ে জুতো দেখে তার সিভিলিয়ান বলে মনে হয়েছিল । এবং সে unarmed ছিলেন তাই তার ভয়ের কারন ছিল না । তাদের মধ্যে খূব তাড়াতাড়ি বন্ধুত্ব হয়ে গেল ।
সুযুকি অনডা কে সব ঘটনা খুলে বললেন এবং তাকে জঙ্গলের বাইরে বেরিয়ে আত্মসমরপরন করতে বললেন । But Onoda Sill Refuse to Surrender ,
সে কি ।।
কিন্তু কেন ??
অনডা কি বল্লেন জানিস ?
কি ? সবাই Victor দা র মুখের দিকে তাকাল, তিনি একটা অদ্ভুত সর্ত দিলেন । তিনি বললেন, " I Will not Surrender Unless the Commanding Officer Who Told me to not Surrender , Comes again and Tell me to Surrender " .
অর্থাৎ বুঝলি পরিস্থিতি টা ??? ২৯ বছর আগের সেই অফিসার কে খুজে আনতে হবে। যিনি অনডা কে এই আইল্যান্ড এ রেখে গিয়েছিলেন ।
ভাব একবার ।।
Suzuki জাপানে ফিরে আসলেন । জাপানে বাপক শোরগোল পরে গেল ,
শেষ পর্যন্ত , অনেক খোঁজাখুজি করে সেই ৩৯ বছর আগের Commanding Officer , Major Yoshimi Taniguchi কে পাওয়া গেল , যিনি এখন একজন বুক সেলার ।
" বুক সেলার " ভুরু কুঁচকে র্অর্ক জিজ্ঞাসা করল । হ্যাঁ , ঐ বই এর দোকন-টোকান আছে । দেখা গেল তিনি ব্যাপার টা ভুলেই গেছেন , আর ভুলবেন না কেন বল, এক -দুই বছর ত নয়, ২৯ বছর কেটে গেছে । পরিস্থিতি পুরোটাই বদলে গেছে ।
| NARIO SUZUKI & HIROO ONODA ON LUBANG ISLAND. |
যাইহোক , Yoshima Taniguchi ১৯৭৪ সালে লুবাং আইল্যান্ড গেলেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তার প্রমিস রাখলেন , ২৯ বছর আগে যিনি বলেছিলেন " Whatever Happens, We will Come back to U". শেষ তিনি পর্যন্ত Hiroo Onoda কে রাজি করাতে পারলেন ।
১৯৭৪ সালের ৯ মার্চ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার ২৯ বছর পরে Onoda Finally Surrender করলেন । তার সাথে ছিল একটা Samurai sword, Type 99 Rifle , প্রায় ৫০০ বেশী গুলি ও হ্যান্ড গ্রেনেড।
বুঝলি , এত বছর পরেও এই সব জিনিস গুলোর Condition ছিল খুব ভাল । মানে তিনি রীতিমতোন যত্ন করে রেখে ছিলেন
All writings and other content here are entirely the author's own.
Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.
Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন