" THE LAST IMPERIAL SOLDIER OF JAPAN " [ প্রথম পর্ব ]
THE LAST IMPERIAL SOLDIER OF JAPAN "
[ প্রথম পর্ব
জানিস তো এবারে না পুজোতে আন্দামান যাবার প্ল্যান হচ্ছে " , শেষ ফুচকাটা মুখে দিয়ে রিমঝিম বলল । আর 'লালদা' সত্যিই তুমি এই স্পেশাল ফুচকা যা বানাও না ... ওহ।।
জাস্ট ফাটাফাটি । লাল দা ওদের পাড়ার মানে, কৃষ্ণ পল্লীর বিখ্যাত ফুচকা বিক্রেতা. লালদার তৈরি ফুচকার খ্যাতি পাড়ার বাইরেও অনেক দূর দূরান্ত বিস্তৃত ।
লালদা আসলে ললিন্দ্র নাথ তিয়ারী, মাঝবয়সী, গোলগাল মোটা সোটা চেহারা , আর মুখে সব সময় হাসি। এই হচ্ছে ওদের সবার সবার প্রিয় লালদা !
আজকের দিনটি ওদের কাছে স্পেশাল, ওরা বলতে অর্ক, শন, নিশো আর রিমঝিম।
সবাই একই পাড়ার বন্ধু, একসাথেই পড়াশোনা, বড়ো হয়ে ওঠা ! যদিও ওদের আজকের দিনটি শুরু হয়েছিল অন্য পাঁচটি দিনের মতন ই !
কিন্তু আনন্দের খবর পাওয়া গেলো বিকালে,ওদের প্ৰিয় ভিক্টরদার প্রমোশন হয়েছে ! তাই সঙ্গে সঙ্গে ফুচকা দিয়ে আজকের এই "মিনি সেলেব্রেশন "!
তবে ভিক্টরদা আমরা কিন্তু আরো বড়ো ট্রিট চাই, শুধু ফুচকার উপর দিয়েই চলবে না, আমাদের এক্সপেকটেশন আরো বেশি, কী তাই না !!
চোখ টিপে নিশো
বলে ওঠে !!
ভিক্টরদা শেষ ফুচকা মুখে দিয়ে বলে, সে হবে খন.
THE JAPANESE BUNKER ::
তবে রিমঝিম ,আন্দামানে গেলে কিন্তু অবশ্য সেলুলার জেল আর জাপানিস বাঙ্কার গুলো কিন্তু দেখতে ভুলবি না. বিশেষ করে রস আইল্যান্ড এর , দা বলে । সেলুলার জেল ব্যাপারটা তো জানি, কিন্তু জাপানিস বাঙ্কার ব্যাপারটা কী,
অর্ক জিজ্ঞাসা করে ??
ও মা, এটা জানিস না রিমঝিম লাজুক হাসি দিয়ে বলে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জাপান আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ পুঞ্জ ব্রিটিশ সরকারের থেকে দখল করে নিয়েছিলো, তখনি হয়তো প্রতিরক্ষা কারণে এই বাঙ্কার গুলো তৈরী করা হয়েছিল ,
কী তাই না ভিক্টর দা ?
এক্সজাক্টলি, একদম ঠিক !
তবে জানিস তো শুধু আন্দামানে নয় সমগ্র পাসিফিক ওসেন ও সাউথ ইস্ট এশিয়া জুড়ে প্রচুর ছোটো বড়ো আইল্যান্ড জুড়েই জাপান এই রকমের অসংখ্য মিলিটারি কনস্ট্রাকশন, যেমন বাঙ্কার, টানেল, জেটি, ব্রিজ, রেল লাইন এবং আরো অনেক কিছুই তৈরী করেছিলো !
লং টাইম ওয়ার " অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ! আর কিছু কিছু জাপানিস 'হোল্ড আউট' গুলো এতো বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম এলাকায় ছিলো যে, বহিঃ বিশ্বের সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক ছিলো না !
স্ট্রেঞ্জ !!
এতটাই গোপন ? সবার মুখে বিস্ময় !!
ভিক্টর দা হেসে বললো, ইয়েস মাই ডিয়ার !!
ঠিক তাই !!
আর আরো শুনে অবাক হবি যে এই কারণেই ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাপানের অফিসিয়ালি আত্মসমর্পন এর পরেও এই সব বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম এলাকায় ইম্পেরিয়াল জাপানি আর্মির অনেক সৈন্য লুকিয়ে ছিলো যারা, তখনো যুদ্ধ টা চালিয়ে যাচ্ছিল !! My God !!
মানে তারা এটা জানতেও পারেনি !!
হুম, বলা যায় অনেকটা ঠিক সেরকম ই !
আচ্ছা , তোদের " THE LAST IMPERIAL SOLDIER OF JAPAN " গল্পটা শোনা আছে ? যদিও এটা কোনো গল্প না,
একদম বাস্তব ঘটনা !!
লাস্ট...... সোলজার !!!!
না তো, প্লিজ আমাদের পুরো ব্যাপারটা খুলে বলো, সবাই একসাথে বলে উঠলো !! ওদের সবার কৌতূহলী চোখ তার দিকে স্থির !
ভিক্টর দা খুব শান্ত গলায় বললো, ঠিক আছে চল, গল্পটা শোনা যাক!
হুম, দারুন হবে, চলো চলো ! সবাই ভিতরে ভিতরে ভীষণ উত্তেজিত ।
THE STORY ::
সবাই মাঠে গোল হয়ে বসলো ! ভিক্টর দা নিচু স্বরে জিজ্ঞাসা করলো এই যে, " বাঙ্কার" জিনিসটা ঠিক কী এটা সবার জানা আছে ? হ্যা, মোটামুটি জানি , তাও তুমি ভালো ভাবে বলো ! Bunkers Are Concrete Construction , Mainly Made For Protect Soldiers Or Civilian From Bombs Or Others Any type Of Enemy Attack.
এবারে শন উত্তেজিত কণ্ঠে বললো, "আমার একটা প্রশ্ন আছে , এই " ইম্পেরিয়াল " ওয়ার্ডটা জাপানি সেনাবাহিনীর সাথে সব সময়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, এর কী আলাদা কোনো তাৎপর্য আছে ? খুব ভালো প্রশ্ন করেছিস, ভিক্টর দা শান্ত গলায় বললো ! তবে এটার উত্তর জানার আগে, সবাই পুরো ঘটনা টা ভালো করে মন দিয়ে শোন ! কারণ ব্যাপার টা প্রথম থেকে না শুনলে ভালো ভাবে বুঝতে পারবি না !!
ওকে, ওকে !!
বলো , সবাই নড়েচড়ে বসলো !
সময় টা ১৯৩৯ সালের ১ লা সেপ্টেম্বর, হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করলেন, এর ঠিক দুই দিন পরেই ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সূত্র পাত ঘটে !
এর দুই বছর পরে ১৯৪১ সালের ৭ ই ডিসেম্বর জাপান, আমেরিকার 'পার্ল হারবার নৌ ঘাঁটি তে এয়ার এটাক মাধ্যমে যুদ্ধে যোগ দান করে. এবং অতি দ্রুত গতিতে একবছরের মধ্যেই ফিলিপাইন্স, মালয়, সিঙ্গাপুর, ডাচ ইস্ট এন্ডিস, থাইল্যান্ড, বার্মা এবং আরো অনেক ছোটো বড়ো আইল্যান্ড দখল করে ভারতের সীমান্তে পৌঁছে যায় !! জাপানের এই সাফল্য ছিলো সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশীত এবং অকল্পনিয় !
Really Unthinkable !! বলতে পারিস ক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমায় ! জাপান দখল করা নতুন জায়গায় গুলিতে পাঁকা পোক্ত সৈন্য ঘাঁটি বানানো শুরু করে দেয় ! এই পযন্ত বলে ভিক্টর দা একটু থামলো!
তারপর তারপর কী হলো ??? সবার কৌতূহলী দৃষ্টি ভিক্টর দার দিকে স্থির !
একটু হেসে, ভিক্টর দা আবার শুরু করলো, কিন্তু জানিস তো একটা কথা আছে, 'ম্যান প্রপোজ বাট গড দিসপোস ' . তাই জাপান ও কিন্তু তার এই অভাবনীয় সাফল্য ধরে রাখতে পারলো না. Battle Of Midway [১৯৪২ জুন ] চূড়ান্ত পরাজয়ের পর থেকেই জাপানের ভাগ্যর চাকা উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে, পরাজিত হতে শুরু করে আমেরিকা ও ব্রিটেনের যুগ্ম বাহিনীর হাতে. সমস্ত বিজিত জায়গা একে একে হাতছাড়া হতে শুরু হয়. জাপান মাটি কামড়ে ধরে আত্মরক্ষা করার নীতি নেয় .
🌎 THE LUBANG ISLAND & HiROO ONODA
ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ফিলিপ্পিনসের [ তখন জাপানের দখলে ] একটা ছোট্ট আইল্যান্ড ' লুবাং' এ জাপানীস ইম্প্রেয়াল আর্মির সেকেন্ড লেফ্টনেন্ট অফিসার Hiroo Onoda কে মোতায়ান করা হয়, ১৯৪৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর.
তার উপরে অর্ডার , " To Stand And Fight At All Cost, And To Never Surrender "
হুম, তারপরে , অর্ক ঘাড় কাত করে জিজ্ঞাসা করলো ???
"রিলাক্স মাই ডিয়ার " আমাদের মূল কাহানির সূচনা এখান থেকেই . কিন্তু তার আগে এই জায়গাটার সম্পর্কে আরো একটু ভালো করে জেনে নে, এই ফিলিপ্পিনস হলো অনেক গুলো ছোটো বড়ো আইল্যান্ড নিয়ে গঠিত সমুদ্র বেষ্টিত একটা দেশ.
আর এই Lubang Islands ফিলিপ্পিনসের অনেক গুলো আইল্যান্ড এর মধ্যে খুব ছোটো একটা আইল্যান্ড.
ম্যাপ লক্ষ করলে দেখবি, রাজধানী 'ম্যানিলা সিটি' থেকে প্রায় ১৫০ K. M দক্ষিণ -পশ্চিম দিকে এটি অবস্থিত, টোটাল আয়তন প্রায় ১ ২৫ স্কোয়ার কিলোমিটার, উত্তর দক্ষিণে ২৫ কি. মি আর পূর্ব-পশ্চিমে মাত্র ১০ কি. মি পযন্ত বৃষ্টিত এই দ্বীপ ! একদিকে সমতল ভূমি আর বাকি দিকটা ছোটো পাহাড় এবং জঙ্গল দিয়ে ঘেরা !
Hiroo Onada প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ইম্পেরিয়াল জাপানের সেই সময়ের বিখ্যাত আর্মি ট্রেনিং স্কুল "Nakano School" থেকে ! বিখ্যাত বললাম কারণ, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় এখানে প্রথাগত মিলিটারি টেকনিক ছাড়াও "Guerilla Warfare in Jungle " এর স্পেশাল ট্রেনিং দেওয়া হতো !!
আর জানিস তো, Onoda Trained As An Intelligence Officer In The ' Futamata Bunko ' অর্থাৎ Commando Class.
এই 'গেরিলা ওয়ারের ' ব্যাপারটা জানা আছে তো ??
রিমঝিম বলল, হা, ওই লুকিয়ে থেকে লড়াই করা, অনেক বেশি সংখ্যক শত্রুবাহিনী কে বতিব্যস্ত করা.
হুম, ঠিক বলেছিস, " It Is a Irregular Military War Tactics .
যেমন ধর, Ambushes , Sabotage, Hit and Run Etc. !
এর সম্পর্কে প্রথম জানা যায় খিস্ট পূর্ব ষষ্ঠ শতকে Sun Tzu লেখা পৃথিবী বিখ্যাত বই " The Art Of War " থেকে ! তিনিই সর্ব প্রথম এই গেরিলা যুদ্ধ এর কথা উল্লেখ করেছিলেন. তবে ইতিহাসে একে জনপ্রিয় করেছিলেন কে জানিস তো, বিখ্যাত রোমান জেনারেল ফ্যাবিয়াস ম্যাক্সিমাস ! He Added Many Of His Own Techniques And 'Turned it Into a Very Successful And Devastating War Technique .
THE ART OF WAR ::: যাইহোক, আমাদের মূল গল্পে ফিরি, Onoda আসার কয়েক মাসের মধ্যেই আমেরিকা ও ব্রিটেনের যুগ্ম বাহিনী লুবাং আইল্যান্ড আক্রমণ করে, ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৫. সংখ্যায় তারা ছিলো অনেক বেশি ! ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই বেশিরভাগ জাপানি সৈন্য হয় তাঁদের হাতে মারা যায় অথবা surrender করতে বাধ্য হয় . কিন্তু Onoda এবং আরো বাকি তিন জন অর্থাৎ মাত্র চারজন ধরা দেয় না তারা পাহাড়ে ঘেরা জঙ্গলে পালিয়ে যায়.
মাত্র চারজন !!!! নিশো, বিস্ময় কণ্ঠে বলে ওঠে !!!
ইয়েস মাই ডিয়ার, অনলি ফোর !!
আর আমেরিকান কতো ছিলো সংখ্যায়, হুম, More Than Five Thousands. উরিব্বাস !!! সাংঘাতিক ব্যাপার তো !! Four Vs Five Thousand.
তারপরে কি হলো ,
তারপর ???
ভিক্টর দা আবার নিচু স্বরে বলতে শুরু করলো........!!
ক্রমশঃ [বাকিটা পরের পর্বে ]
আমাদের পরবর্তী লেখা গুলো পড়ার জন্য এই ব্লগ টি ফলো করুন ।।
অনুগ্রহ করে কমেন্ট করে জানান গল্প গুলো কেমন লাগছে ।।
Khub sundor লেখাটা..tantan uttejonai vora
উত্তরমুছুন