The Forgotten Airport Of WW2 . [ পর্ব = ১৬ ]
🧧 ধারাবাহিক ভাবে রচনা
Dhubulia , The Forgotten Airport Of World War 2 .
🧱:: In The Privious Episode ::.
দ্বিতীয় চিন্ডিটস অপারেশন, ' Operation Thursday '. শুরু হল, এবারে অনেক বৃহৎ মাপের অপারেশন. কিন্তু অপারেশান শুরু হবার কয়েক দিনের মধেই হটাত চালস উইগাতে বিমান দুঘটনায় মারা গেলেন মনিপুরের বিশেনপুর এ... !!!
তারপরে.... ...।
[ পর্ব= ১৬ ]
এন. এইচ ৩৪,
ধুবুলিয়া, নদিয়া
🗺️ মহাসড়কের দুপাশে নতুন বিল্ডিং আর দোকান তৈরী হচ্ছে, কয়েক বছর আগেও জায়গাটা ছিলো সম্পূর্ণ অন্য রকমের !
আমরা হাঁটতে হাঁটতে ধুবুলিয়া এয়ারস্টিপ এর বড়ো প্রাচীরের কাছে চলে এসেছি !
ছোট বেলায় শুনেছি এটা নাকি প্রায় ১২/১৩ ফিট উঁচু ছিলো !
সম্ভবত এটা [ 99 স্কোয়ার্ডরন এর ] এয়ার ফোর্সর সৈনিকদের রাইফেল শুটিং প্রাক্টিস করা্র জায়গা ছিলো !!
হাতঘড়িতে সময় দেখলাম বিকেল সাড়ে চার, খুব তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা নেমে যাবে...... বললাম একটু তাড়াতাড়ি চল আমরা প্রায় এসেগেছি.!
কথাটা শুনে পিছন ফিরে তাকালো সবাই,. " চলে এসেছি ?
হা, মাথা নেড়ে সায় দিলাম !
" হুম " তারপরে কি হলো সেটা বলো ?
ওকে, বলছি,
' Operation Thursday ' মানে একদিকে চিন্ডিটসদের দ্বিতীয় অপারেশন শুরু হয়েছে , অন্যদিকে জাপানি লেফ্টনান্ট জেনারেল রেনেয়া মিতুগুচি, যিনি ছিলেন ইম্পেরিয়াল জাপানিজ আর্মি র বার্মা ডিভিশনের প্রধান , কাছে এটা একটা জিনিস খুব পরিষ্কার , এই পরিস্থিতিতে তাড়াতাড়ি তাকে বড়ো ধরণের কিছু একটা করতে হবে.
তিনি ভাবলেন যদি ব্রিটিশরা চিন্দুইন নদী পেরিয়ে তাদের এট্যাক করতে পারে তাহলে ঐ একই রাস্তায় তিনিও চিন্দুইন অতিক্রম করে পাল্টা আক্রমণ করবেন.
🧧 ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের গতি প্রকৃতি অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে !
প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে আমেরিকা ও মিত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে !
জাপানের পক্ষে মূল ভুখন্ড থেকে দুরবর্তী দখলে থাকা জাইগা গুলোর উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখা কষ্টকর হয়ে পড়েছে !
Battle of Midway & Battle Of Coral Sea পর পর দুটো ওয়ার এ জাপান আমেরিকার কাছে পরাজিত হয়েছে ।
এখন জাপানের মুল ভূখণ্ডে আমেরিকার আক্রমনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।
আবার প্লেন তৈরী করার ব্যাপারেও জাপান আমেরিকার থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে !
ফলে আমেরিকান বিমান বাহিনী জাপানী আর্মির উপরে বোম্ব ফেলে কন্টিনিউ হ্যারাস করে যাচ্ছে !
সব মিলিয়ে জাপানের অবস্থা খুব একটা ভাল নয় ।
এখন ইম্পেরিয়াল জাপানী আর্মির
রি - সাপ্লাই একমাত্র রুট রেলওয়ে লাইন , সিঙ্গাপুর - থাইল্যান্ড - বার্মা !
যেটা ইতিহাসে The Death Railway নামে পরিচিত !
তাই এই রকমের দমবন্ধ পরিস্থিতি পরিবরতনের জন্য দরকার একটা বড় ভিক্টরি ।
🚧 সুতরাং , এট্যাক ফার্স্ট বিফোর ব্রিটিশ স্যুট এট্যাক এগেইন !
তার মাথা থেকে বেরোলো " Operation- U Go " মতন রিস্কি এটাকিং পরিকল্পনা !
" রিস্কি " কেন বলছো ?
দেখ, যে কোনো মিলিটারি অপরাশন মানেই রিস্ক, তবে এখানে রিস্ক টা আলাদা ধরণের, এটা পরে বিস্তারিত ভাবে বলছি !
তার আগে, আমরা Operation U-Go মুল পরিকল্পনা টা ভালো ভাবে জেনে নি.
" ওকে " ঠিক আছে !!
🀄 Operation U-GO ::
March - April 1944.
Lieutenant General রেনুয়া মিতুগুচি এই অপারেশন জন্য বার্মায় থাকা ইম্পেরিয়াল জাপানী পুরো 15th ক্রপ্স কে নিয়োগ করলেন ! মানে, ধরে নে , প্রায় ৮০/৯০ হাজার জাপানিজ সৈন্য ! তিনি এটা একপ্রকার বড় জুয়া খেললেন , বলতে পারিস ।
মিতুগুচির কিন্তু দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, তার আর্মি খুব সহজেই ইন্ডিয়ায় ঢুকে কোহিমা ও ইম্পল শহর দুটো দখলে আনতে পারবে !
তিনি আরও নিশ্চিত ছিলেন মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই কোহিমা ও ইম্পল জাপানের অধীনে চলে আসবে , সেই জন্য তিনি প্রত্যেক জাপানী সৈনিকের জন্য মাত্র ২৫ দিনের রেশন বরাদ্দ করেছিলেন . যেটা পরে ভয়ানক সমস্যার কারণ হয়েছিল .
🧭 নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়ার দুটো শহর ইম্পল আর কোহিমা বিখ্যাত তাদের ন্যাচারাল জিওগ্রাফির জন্য . দুটো শহরই উঁচু পাহাড় দিয়ে ঘেরা আর মাঝখানে বিরাট সমতল ভূমি !
মানে এয়ারফিল্ড জন্য একদম পারফেক্ট , এয়ার সাপ্লাই ছাড়া উঁচু পর্বত মাঝ দিয়ে এখানে প্রবেশের একমাত্র পথ আসামের ডিমাপুর- কোহিমা- ইম্পল হাইওয়ে !
মিতুগুচির আসল টার্গেট ব্রহ্মপুত্র নদী উপতাকা , মেইনলি আসামের ডিমাপুর শহর !
যেটা তখন তার বিপরীতে ব্রিটিশ 14 th আর্মির মেইন সাপ্লাই বেস.
এই ডিমাপুর শহর থেকেই পুরো নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়ায় ব্রিটিশরা তাদের সাপ্লাই পাঠাচ্ছে ও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে । ডিমাপুর যদি একবার কব্জা হয়ে যায়, তাহলে নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া সহ বেঙ্গল প্রদেশে ঢোকার রাস্তা একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে !
আর জাপানিজ আর্মি যদি একবার সহযোগী আজাদ হিন্দ বাহিনির সাথে ইন্ডিয়া এর মুল ভূখণ্ডে পা দিতে পারে তাহলে ইন্ডিয়াতে জন বিপ্লব ঘটে যাবে ব্রিটিশ শাসনের বিরুধে ।
THE PLAN ::
🚩🚩 পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক হলো এম্পেরিয়াল জাপানিজ আর্মির তিনটি ডিভিশন আলাদা আলাদা দিক দিয়ে চিন্দুইন নদী অতিক্রম করে ইন্ডিয়া ঢুকবে ! তাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব থাকবে আলাদা আলাদা ।
যেমন , নদী পার হবার পরে , 15th ডিভিশন, যার নেতৃত্বে থাকবেন, Lieutenant General , Masafumi Yamauchi
পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং ডিমাপুর-ইম্পল হাইওয়ে ব্লক করে উত্তর দিক দিয়ে দিয়ে ইম্পল শহরে আক্রমণ করবে এবং ইম্পল শহরের সুরক্ষায় থাকা ব্রিটিশ বাহিনীর ' 4th ইন্ডিয়ান কপ্স ' কে ধ্বংস করবে !
🚩 দ্বিতীয় অর্থাৎ 33 Rd ডিভিশন, যার নেতৃত্ব দেবেন Lieutenant General Genzo Yanagida,
দুটো দলে বা রেজিমেন্ট এ ভাগ হয়ে আলাদা আলাদা রাস্তা দিয়ে ইম্পল শহরের দিক অগ্রসর হবে !
মূল বাহিনী যাবে 'খাবান উপতাকা ' দিকে যেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি তারা ' তামু শহরে ' পোঁছে যাবে এবং সেখানে অবস্থিত ' 20th ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান ডিভিশন ' কে আক্রমণ করবে ও ধ্বংস করবে ও এর পরে তারা ইম্পল এয়ারপোর্ট কব্জা করবে !
আর অন্য দল [ দ্বিতীয় রেজিমেন্ট ] দক্ষিণের দিক দিয়ে ইম্পল শহর আক্রমণ করবে আর সেখানে থাকা ' 17th ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান ডিভিশন ' কে ধ্বংস করবে !
OPERATION U-GO
🚩 আর তৃতীয় বা 31 St ডিভিশন লিড করবে Lieutenant General Kotuku Sato.
নদী পার হবার পরে এই ডিভিশন তিনটি আলাদা রেজিমেন্ট ভাগ হয়ে সম্পূর্ণ আলাদা রাস্তা দিয়ে নাগাল্যান্ড এর রাজধানী কোহিমা শহর আক্রমণ করবে.
এটা ছাড়াও এই ডিভিশনে একটা সাপোর্টিং মাউন্টেন আর্টিলারি রেজিমেন্ট ছিলো.
এর নেতৃত্বে ছিলেন ওয়ান অফ এ বেস্ট অফিসার, অফ জাপানিজ আর্মি , Major General Shigesaburo Miyazaki.
He was Very Much Respected by The Troops For his Personal Bravery.
একটা মজার কথা জানিস এনার " ছিবি " নামে একটা প্রিয় পোষা বাঁদর ছিলো, যে সব সময় তাঁর সাথে থাকতো ।
এমণ কি, তিনি যখন যুদ্ধ করতেন ছিবি তখনও তার কাঁধে বসে থাকতো .
Major General Shigesaburo Miyazaki.
" তাই নাকি ? "
আশ্চর্য ব্যাপার !!
" হুম " ঠিক আশ্চর্য বটে !
তবে এটা ওনার একটা পেটেন্ট স্টাইল ছিলো বলতে পারিস !
আচ্ছা, একটা প্রশ্ন ছিলো, পাপ্পু মুখ ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,
" এই ডিভিশন বা রেজিমেন্ট ব্যাপারটা ঠিক কি ?
হেসে বললাম ভালো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিস, এগুলো আসলে সবই বিভিন্ন মিলিটারি সংগঠন ,
যেমন ধর মিলিটারিতে সব চেয়ে ছোট গ্রুপকে বলে, "SQUARD' মূলত ৪ থেকে ১০ জণ নিয়ে এটা তৈরি করা হয় ।
আবার ৩/৪ টে SQARD একসাথে মিলে তৈরি হয় একটা "PLATOON"
৩/৫ PLATOON একসাথে হয়ে তৈরি হয় একটা , COMPANY ।
আর ৪/৬ COMPAY মিশিয়ে তৈরি হয় একটা BATALION,
দুই -তিন BATALION একসাথে হলে তাকে বলা হয় , ONE BRIGADE.
এরকম তিন টে BRIGADE একসাথে হয়ে একটা DIVISIN তৈরি হয় ।
এক একটা DIVISION এ মোটামুটি ১৬ থেকে ২০ হাজার সৈন্য থাকতে পারে ।
আর পাঁচ টা DIVISIN একসাথে হয়ে একটা CORPS হয় ।
🧧
তাহলে এখানে ইম্পেরিয়াল জাপানিজ আর্মির তিনটে DIVISIN এই OPERATION U-GO টে অংশ নিয়েছিলো । যেগুলো আবার যথারীতি BATALION বিভক্তও ছিলও ।
' হম " এবারে বুঝতে পারলাম ।
যখন এই সব হছে ইন্ডিয়া- বার্মা সিমান্তে ঠিক একই সময় তখনি নাদিয়া জেলার এই ধুবুলিয়া তে এয়ারপোর্ট তৈরি শুরু হয়ে গেছে । কারন জুধের ফলাফল দুই পক্ষের কাছেই অনিশ্চিত ।
ব্রিটিশ জানত যদি জাপানের 🗾 জয় হয়, তাহলে এই এয়ারপোর্ট ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করতে হবেই ।
🌟 আচ্ছা, সিঙ্গাপুর - থাইল্যান্ড - বার্মা রেলওয়ে লাইন ইতিহাসে The Death Railway নামে পরিচিত কেন ??
এটা একটা বড় গল্প ...
অনেক সিনেমা , ডকুমেন্তারি.. রয়েছে একে নিয়ে.
বলছি ...।
🚨 ক্রমশ
!! বাকিটা পরের পর্বে !!
নদিয়া জেলার ধুবুলিয়াতে ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ সরকার তৈরি করেছিল এক বিরাট এয়ারপোর্ট , লক্ষ্য ছিল জাপানের বিরুধে লড়াই করা, এই এয়ারপোর্ট কে কেন্দ্র করে ধুবুলিয়ার মতন ফাঁকা অঞ্ছলে গড়ে উঠেছিলো অনেক গুলো CONSTRUCTION ......... এক বিরাট কর্মকাণ্ড ।
কী পরিস্থিতিতে এই AIRPORT তৈরি করা হয়ে ছিল ??
আর এতো বছর পরে কেমন আছে ব্রিটিশদের তৈরি সেই AIRPORT. ???
এইসব নিয়েই আমাদের এই ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।।
এটা একটা ধারাবাহিক ভাবে বর্ণিত গল্প । তাই বাকি পর্ব গুলো দেখার আবেদন থাকলো ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন ।
THANK U TO ALL
" AUTHORITY OF
RAINBOW SUBHRO SCRAP BOOK "
All writings here are entirely the author's own.
Any use without permission is prohibited by law, as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.
Khub sundor kintu otibo jotil prekhapot...mone rakhai muskil hoe jache
উত্তরমুছুনধন্যবাদ আপনাকে 😃
মুছুনদারুন চালিয়ে যাও। শিবুদা।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ শিবু দা আপনাকে!!!
উত্তরমুছুনSir আপনি খুব সুন্দর ভাবে একটা অজানা ইতিহাস তুলে ধরেছেন ।। খুব ভালো লাগলো ।।
উত্তরমুছুনএই সব ইতিহাস সময় এর সাথে সাথে হারিয়ে যেতো কিন্তু আপনার প্রচেষ্টায় এই
অজানা ইতিহাসটি অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে এতো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করার জন্য !!!
মুছুন