The Forgotte AirPort Of World War 2 [ পর্ব -১৭]

The Forgotten AirPort Of World War 2




The War Will End,
The Leaders Will Shake Hands Again.
But the Old Woman will Keep Waiting For Her Martyred Son
and
Children Will Wait for Their Father, I don't Know Who Sold Our Homeland. But I Saw Who Paid the Price. "

 

  ধারাবাহিক ভাবে রচিত
[ পর্ব -১৭]
জাপানী আক্রমণের ভারতের ব্রিটিশদের অবস্থা কি রকম ?
খুব একটা সুবিধাজনক নয় । মেজর জেনারেল উইলিয়াম স্লিমের উপরে. ইন্ডিয়ান ফ্রন্ট রক্ষার দায়িত্ব ছিলো , মানে, Head Of The Burma Corps . He Was One Of a Finest British General in The World War 2
This fighting Would be a hard and bloody . স্লিম এটা খুবই ভালো ভাবেই অনুমান করে নিয়েছিলেন । জঙ্গলের যুদ্ধে জাপানীদের থেকে ভয়ঙ্কর আর কিছু হয় না ! বিশেষ করে তাদের যুদ্ধ কৌশল Outflanking & Encirclement অসাধারণ. ্সুতরাং দরকার প্রচুর সৈনিকের । প্রয়োজন ভারতীয়দের সাহায্যের।
ভারতীয়দের প্রত্যক্ষ সাহায্য ছাড়া ব্রিটিশদের পক্ষে এই যুদ্ধে জেতা অসম্ভব !

তাই ১৯৪৩ সালের মাঝামাঝি থেকেই প্রচুর আর্মি ট্রেনিং ক্যাম্প ও এয়ারপোর্ট গুলো তৈরী করা শুরু হয়ে যায় ! সেখানে প্রচুর ভারতীয়দের নিয়োগ শুরু হয়ে যায়, এক একটা মাসে ৫০ হাজার ভারতীয়দের ট্রেনিং দেওয়া হতো,
ভাবতে পারছিস ? কি বিরাট সংখ্যায় ভারতীয় অংশ নিয়েছিল।
যদিও ব্রিটিশ -ইন্ডিয়ান ফোর্স এর মূল বাহিনী এই সময় উত্তর আফ্রিকাতে জার্মানি সাথে লড়াই করছে !


Different War Strategy :

এক সঙ্গে যুদ্ধ করলেও ব্রিটিশ ও আমেরিকানদের লক্ষ ছিল সম্পূর্ণ আলাদা ! ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল মনে করতেন তাদের লক্ষ হওয়া উচিত বার্মা থেকে জাপানী বাহিনীকে বিতারণ করা এবং তারপরে ধীরেধীরে সিঙ্গাপুর, মালয়া সহ সমগ্র সাউথ-ইস্ট এশিয়া দখলে আনা ! কিন্তু অন্য দিকে আমেরিকানদের ভাবনা ছিলো সম্পূর্ণ আলাদা! তাদের লক্ষ ছিলো বার্মা উত্তর দিকে আক্রমণ করে চিন দখলে আনা, তারপরে চিয়ান-কাই শেকের সাহায্য নিয়ে চিনে আমেরিকান এয়ারপোর্ট তৈরী করা এবং জাপানের মূল ভুখন্ডে ডাইরেক্ট এটাক করা !

The Place Of War ::


🌈 ম্পল উপতাকার চারপাশে নাগা পর্বতমালা পুরো অঞ্চলটা মালা মতন ঘিরে রেখেছে ! সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩ হাজার ফিট উপরে অবস্থিত এই উপতাকার আকৃতি অনেকটা মানুষের হার্ট মতন যার উত্তর দিক চওড়া [ ১৭ কিলোমিটার বিস্তীত ] দক্ষিণ অংশ সরু ! এই জায়গা ছিলো ব্রিটিশদের কাছে স্ট্রাটেজিক্যালি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ! ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মির IV Corps এর এবং 221 গ্রুপ এয়ারফোর্স এর হেড কোয়ার্টার দুটো ই ছিলো এখানে !
ইম্পল হাতছাড়া হবার মানে আসাম সহ সমগ্র ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকার নিরাপত্তা একটা থ্রেট মধ্যে চলে আসা !






এই পুরো উপতাকা সহ ইম্পল সিটি রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশরা তৈরী করেছিলো ছয়- ছয় টা এয়ারস্ট্রিপ !
এর মধ্যে ইম্পল ও পালিল এয়ারপোর্ট ছিলো সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ !
এছাড়া ছিলো তুলিহাল এয়ারপোর্ট যার রানওয়ে সবচেয়ে বৃহৎ প্রায় ৬ কিলোমিটার মতন লম্বা ! মানে ব্রিটিশরা প্রতিরোধ জন্য ভালোরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখে ছিলো !
বিশেষ করে প্রচুর পরিমানে ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট জড়ো করে রাখা ! যেমন ধর আমেরিকান C-17 মডেলের প্লেন !
ধুবুলিয়া এয়ারপোর্ট এইসময় তৈরী, যুদ্ধে ট্রান্সপোর্ট দেবার জন্য ! আসলে এই যুদ্ধে এই ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট এর ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ন ! এই সাহায্যই ব্রিটিশ-আমেরিকান শক্তি মিলিটারি, খাবার, জল, অস্ত্র, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রযোজনীয় জিনিসপত্র পাঠাতে পেরেছিল.
বিশেষ করে যখন জাপানী ফোর্স বিশেনপুর দখলে এনে শিলচর ও ইম্পলের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ করে ইম্পল উপতাকা পুরোপুরি ঘেরাও করে ফেলেছিলো !
যেটা তাদের প্রতিকল্পনা মধ্যেই ছিলো !



Dhubulia At That Time ::


🚩 দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে মূলত তিন রকমের প্লেন ব্যবহার হয়েছিল, যেমন Bombers , Fighter & Transport .
বোম্বার্স প্লেনের কাজ ছিলো বোম্ব বহন করে নিয়ে যাওয়া এবং নিদৃষ্ট লক্ষে নিক্ষেপ করা . ফাইটার্স প্লেন আকাশে শত্রু প্লেনের সাথে কম্বাট যুক্ত হতো যাকে বলা হয় ডগ ফাইট ! আর ট্রান্সপোর্ট প্লেন সাপ্লাই করার জন্য ব্যবহার করা হতো ! যেহেতু ধুবুলিয়া ছিলো একটা ট্রাকটিক্যাল এয়ারপোর্ট । এটা তৈরী করাই হয়েছিল বার্মা ফন্টে লড়াই এ গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সপোর্ট সাপ্লাই দিয়ে সাপোর্ট করার জন্য, তাই ধরে নেওয়া যায় এখানে ফাইটার প্লেনের তুলনায় বড়ো-বড়ো ট্রান্সপোর্ট প্লেন গুলোই ল্যান্ড করতো ! যেমন ধর, C-17 মডেলের প্লেন ! আর এই এই সব ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ গুলোই এই যুদ্ধে জয়লাভে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল, যখন ইম্পল ও কোহিমা দুটো শহরই জাপানী সেনার দ্বারা ঘেরাও হয়ে পড়েছিল
তখন ব্রিটিশ এয়ারফোর্স ১৯ হাজার টন খাবার ও ১২ হাজার সৈনিক পৌঁছে দিতে পেরেছিল আবার ১৩ হাজার আহত সৈনিকদের ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল ! যা যুদ্ধের সিচুয়েশনকে পুরোপুরি পরিবর্তন করতে যথেষ্ট ছিলো.





⛳️ The   Death   Railway ::
এই ডেথ রেলওয়ে গল্পটা কি ?
   দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে সময় নির্মিত বার্মা-থাইল্যান্ড মধ্যে ৪১৫ কিলোমিটার লম্বা   রেলওয়ে লাইন        
" ডেথ রেলওয়ে "হিসাবে কুখ্যাত     ।
 ১৯৪২ সালে জাপান বার্মা দখল করার পরে জাপানের মূল আইল্যান্ড সঙ্গে যোগাযোগ একমাত্র রাস্তা ছিলো জল পথ     স্ট্রেইট অফ মালক্কা  ও  আন্দামান  সমুদ্রের মাধ্যমেই   জাপান  অস্ত্র,  সৈন্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়   জিনিসপত্র,  যার   দূরত্ব   ছিলো প্রায়  ৩২   হাজার কিলোমিটার ! ফলে  সময় অনেক লাগতো,   আবার  আমেরিকান-ব্রিটিশ  সাবমেরিন জাপানী  জাহাজ  এটাক  করতো এবং ডুবিয়ে দিতো ! 
১৯৪২ সাল থেকেই   জাপান  একটা বিকল্প   পথের সন্ধান করতে থাকে   এবং এই  রেলওয়ে লাইন বানানোর সিধান্ত নেওয়া হয় !   এতো দ্রুত   এররকম  একটা প্রাকৃতিক   ভাবে দুর্গম   অঞ্চলে রেল লাইন পাতানোর জন্য দরকার   সঠিক   ইঞ্জিনিয়ারইং   পরিকল্পনা ও প্রচুর পরিমানে  লেবার  !
 জাপানে সৈন্য বাহিনীতে   ইঞ্জিনিয়ার  এর  অভাব ছিলো না ! 
আর লেবার সমস্যা   সমাধানের   জন্য   কাজে  লাগানো   হলো   জাপানী  সেনার   হাতে  বিভিন্ন  সময়ে যুদ্ধে বন্দি মিত্র বাহিনীর সৈনিকদের  ( P. O. W )  এবং  বার্মা- থাইল্যান্ড  এর   সাধারণ   মনুষদের  . যদিও কাজে লাগানো হলো,   না বলে বলা ঠিক তাদের  কে বাধ্য করা হলো !
 ২ লক্ষ   সাধারণ মানুষ  এবং  ৬০  হাজর   যুদ্ধ   বন্দি   অমানুষিক   পরিশ্রম করে   মাত্র   ১৬ মাসের মধ্যে এই   ৪১৫   কিলোমিটার  দীর্ঘ রেললাইন তৈরী করে ! 
মাসুল দিতে হয় ১ লক্ষ উপরে মানুষকে,    যারা এই কঠোর   পরিশ্রমের ও  অত্যাচার  সহ্য  না  করতে  পেরে মারা যান !
Pierre Boulle  লেখা   বিখ্যাত উপন্যাস  " The   Bridge Of  River Kwai "   , এর   উপরে লেখা , এটা    এতো   প্রপুলার  হয়   যে,  এর   উপরে    হলিউড  মুভি   বানানো   হয়েছিল   যেটাও   একটা    ব্লকবাস্টার   হিট হয় !


🪵       ক্রমশঃ


      # বাকিটা পরে #


রেল লাইন তৈরির কাজ চলছে , পাশে পাহারা দিছে জাপানি সৈনিক ।।

যুদ্ধ বন্দিরা রেল লাইন তৈরি করছে


।। এখন এটা একটা জানপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট ।।


🌈     নদিয়া জেলার  ধুবুলিয়াতে  ১৯৪৪  সালে  ব্রিটিশ  সরকার  তৈরি  করেছিল  এক  বিরাট    এয়ারপোর্ট , লক্ষ্য   ছিল  জাপানের  বিরুধে   লড়াই  করা,  এই  এয়ারপোর্ট  কে  কেন্দ্র   করে   ধুবুলিয়ার    মতন  ফাঁকা   অঞ্ছলে গড়ে    উঠেছিলো  অনেক  গুলো  CONSTRUCTION ........
  এক  বিরাট   কর্মকাণ্ড ।  কী  পরিস্থিতিতে   এই   AIRPORT  তৈরি   করা  হয়ে ছিল  ??   
    আর    এতো     বছর    পরে   কেমন   আছে    ব্রিটিশদের  তৈরি  সেই  AIRPORT.     ???
  
       এইসব    নিয়েই    আমাদের    এই    ধারাবাহিক    প্রতিবেদন  ।।   

এটা একটা ধারাবাহিক ভাবে বর্ণিত গল্প ।

তাই বাকি পর্ব গুলো দেখার আবেদন থাকলো ।
ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন ।


R . SUBHRO "    





All writings  here are entirely the author's own., It may not be reproduced or copied in any form without the written permission of the owner. 
as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.





মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ফাস্ট ফুড, চাউমিন বা ন্যুডলস। Health is Your Wealth. 🥣

🌍🌏 ধুবুলিয়া ঃঃ THE FORGOTTEN AIRPORT OF WORLD WAR2 [ পর্ব =১৫ ]

THE FORGOTTEN AIRPORT OF WW 2 পর্ব = ১৪🧧