ওয়েব-সিরিজ :: তাকদীর । চরিত্র :: ক্রাইম- থ্রিলার। নির্মাতা :: সৈয়দ আহমেদ শাওকি । অভিনয় :: চঞ্চল চৌধুরী, সোহেল মন্ডল, সানজিদা প্রীতি, মনোজ কুমার প্রামানিক, পার্থ বড়ুয়া ও আরো অনেকে। রেটিং :: ৯.১ [ সিজন- ০১ ] চ
আমার অনুভূতি ::
- বাংলা ওয়েব-সিরিজ :: তাকদীর । [ সিজন- ০১ ]
- চরিত্র :: ক্রাইম- থ্রিলার।
- নির্মাতা :: সৈয়দ আহমেদ শাওকি ।
- অভিনয় :: চঞ্চল চৌধুরী, সোহেল মন্ডল, সানজিদা প্রীতি,
- মনোজ কুমার প্রামানিক, পার্থ বড়ুয়া ও আরো অনেকে।
- রেটিং :: ৯.১
- 🀄 সম্প্রতি শেষ করলাম সৈয়দ আহমেদ শাওকি পরিচালিত বাংলা থ্রিলার ওয়েব-সিরিজ " তাকদীর "।এই সিরিজটির প্রতি ভালবাসা ও মুগ্ধতা প্রকাশ করার জন্যই আমার এই অনুভূতি প্রকাশ। বাংলা ভাষায় নির্মিত এই রকমের একটা বিশ্ব মানের মিস্ট্রি থ্রিলার [ অন্ততঃ অভিনয় ও গল্পের জন্য তো বটেই ] আমাদের উপহার দেবার জন্য নির্দেশক-পরিচালক কে অসংখ্য ধন্যবাদ। টানটান উত্তেজনাময় গল্প, অসাধারণ প্লট মেকিং , অপূর্ব সিনেমাটোগ্রাফি এবং তার সাথে অনবদ্য অভিনয় সব মিলিয়ে অসাধান একটা সৃষ্টি।
আট পর্বের এই সিরিজের রহস্য ও রোমাঞ্চ দর্শকদের মনে এতটাই দাগ কেটেছে যে, বাংলার পাশাপাশি হিন্দি ও তামিল ভাষাতেও এর ডাবিং হয়েছে।
গল্পের প্রতিটি এপিসোড আপনাকে এতটাই মুগ্ধ ও আকৃষ্ট করবে যে পুরো সিরিজটা শেষ না করে আপনি উঠতেই পারবেন না ।
গল্পের প্রতিটি এপিসোড আপনাকে এতটাই মুগ্ধ ও আকৃষ্ট করবে যে পুরো সিরিজটা শেষ না করে আপনি উঠতেই পারবেন না ।
🎖️ ♦️ সংক্ষেপে গল্প ::
তাকদীর ' মানে ভাগ্য । এই ভাগ্যের এক নির্মম পরিহাসে একটা বিরাট ঝামেলাই ফেসে যান এই গল্পের মূল চরিত্র ' তাকদীর আলম ' [ অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরী ] যিনি ঢাকা শহরের মৃতদেহ বহনকারী আদিবা কোম্পানির ফ্রিজার ভ্যানের একজন সাধারণ ড্রাইভার । যার কাজ মৃত ব্যাক্তির লাশ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেওয়া, এছাড়া গোপনে গাড়িতে লাশের সাথে বরফ দেওয়া মাছ বাজারে ডেলিভারি দিয়ে কিছু এক্সট্রা টাকা ইনকাম করা ।
কিন্তু একদিন বাজারে মাছের ডেলিভারি দেবার সময় হটাৎ সে আবিষ্কার করে তার ফ্রিজার ভ্যানের মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার মৃতদেহ । চমকে ওঠে সে, কারণ এই লাশ তো তার ডেলিভারি লিস্টে নেই । তাহলে এটা কার লাশ ? কি ভাবে, কোথা থেকে এই মহিলার মৃতদেহ তার ভ্যানের মধ্যে আসলো ?
এই লাশ নিয়ে এখন সে কি করবে ? কোথায়, কার কাছে যাবে ? কে তার মতন সাধারণ মানুষের কথা বিশ্বাস করবে ? এই রকমের নানা প্রশ্ন তার মাথায় জমাট বাধঁতে শুরু করে । সে কোনো কুল কিনারা খুঁজে পায় না ।
এই মধ্যে পরিস্থিতি আরো জটিল হয় যখন তার মোবাইলে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তির ফোন আসে, যে তার সম্পর্কে সব কিছুই জানে এবং এটাও জানে যে তার গাড়িতে একটা লাশ আছে । এই ব্যক্তি তাকে বিশেষ একটা স্থানে লাশটি পৌঁছে দেবার আদেশ দেয় ।
এই সময় টিভির খবরে দেখা যায় বাংলাদেশের হাই প্রোফাইল মহিলা সাংবাদিক আফসনা আঞ্জুম [ অভিনয়ে সঞ্জিদা প্রীতি ] এবং তার ক্যামেরাম্যান রানা [ মনোজ কুমার প্রামানিক ] কাল রাত থেকেই নিখোঁজ, তারা সরীয়তপুর গিয়েছিলেন বিশেষ একটা খবর সংগ্রহের জন্য । তার পর থেকেই তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না । খবরে আফসানার ছবি দেখে তাকদীর আলম ও তার সহযোগি মন্টু [ গল্পের বিশেষ একটা চরিত্র, অভিনয়ে সোহেল মন্ডল ] নিশ্চিত হয় ভ্যানের লাশটা ঐ নিখোঁজ মহিলা সংবাদিক আফসনার । কিন্তু সরীয়তপুর থেকে নিখোঁজ ব্যাক্তির লাশ তার গাড়িতে আসলো কি ভাবে? আর কে, কেন খুন করলো এই সংবাদিক কে ? ক্যামেরাম্যান রানা কোথায় ?
এই সময় টিভির খবরে দেখা যায় বাংলাদেশের হাই প্রোফাইল মহিলা সাংবাদিক আফসনা আঞ্জুম [ অভিনয়ে সঞ্জিদা প্রীতি ] এবং তার ক্যামেরাম্যান রানা [ মনোজ কুমার প্রামানিক ] কাল রাত থেকেই নিখোঁজ, তারা সরীয়তপুর গিয়েছিলেন বিশেষ একটা খবর সংগ্রহের জন্য । তার পর থেকেই তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না । খবরে আফসানার ছবি দেখে তাকদীর আলম ও তার সহযোগি মন্টু [ গল্পের বিশেষ একটা চরিত্র, অভিনয়ে সোহেল মন্ডল ] নিশ্চিত হয় ভ্যানের লাশটা ঐ নিখোঁজ মহিলা সংবাদিক আফসনার । কিন্তু সরীয়তপুর থেকে নিখোঁজ ব্যাক্তির লাশ তার গাড়িতে আসলো কি ভাবে? আর কে, কেন খুন করলো এই সংবাদিক কে ? ক্যামেরাম্যান রানা কোথায় ?
কে এই অজ্ঞাত পরিচয় মানুষ , যে ফোন করে কে লাশ পৌঁছে দেবার নির্দেশ দিচ্ছে, তার আসল উদ্দেশ্য কি ?
কাহিনী যত এগোতে থাকে এই রকমের নানা প্রশ্ন জট পাকতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত কি লেখা আছে তাকদীর আলমের তাকদীরে ? তাহলে আপনাকে পুরো গল্পটা দেখা ছাড়া উপায় নেই।
🀄 আমার ভালোলাগা ::
দুই বাংলার মেলবন্ধনে তাকদীর মতন বিশ্ব মানের ওয়েবসিরিজ নির্মাণ একটা নতুন দিগন্তের উন্মোচন করলো , এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আশা করা যায় এরকমের আরো ভালো ভালো কিছু সিরিজ আমরা উপহার পাবো ।
ভাগ্য বিপর্জয় হলে মানুষের কি পরিণতি হয় সেটাই এই গল্পের মধ্যে ফুটে উঠেছে । এখানে মূল নায়ক হলো টানটান করা এই গল্প । অভিনয় হলো দ্বিতীয় ভালো লাগার কারণ , তাকদীর আলমের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় অসাধারণ । একজন সাধারণ ট্রাক ড্রাইভারের চরিত্রকে মনের মতন করে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। প্রতিটি দৃশ্যএ তার অসাধারণ এক্সপ্রেশন, অনুভূতি দর্শকদের ভালো লাগতে বাধ্য করবে । একজন সাধারণ ড্রাইভারের ভয়, ভালোলাগা, পছন্দ , আবেগ সব কিছুই তিনি অনবদ্য ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । আপনি যত দেখবেন ততই তাকদীর আলম নামক চরিত্রের সাথে একাত্ম বোধ করবেন। মন্টু চরিত্রে সোহেল মন্ডলের অভিনয় স্বতস্ফূর্ত, তাকে আপনার ভালো লাগবেই । তার সহজাত অভিনয় আপনার মনে দাগ কেটে যাবে ।
.jpeg)
আরো একটা বিশেষ চরিত্রে [ হিটম্যান ] পার্থ বড়ুয়ার অভিনয় ও আপনাকে মুগ্ধ করবে । বিশেষ করে তার কথা বার্তার মধ্যে রসবোধ, তার বডিল্যাঙ্গুয়েজ, চলাফেরা ও হাবভাবের মধ্যে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব এবং তার ড্রেস, চুলের স্টাইল সব কিছুই একদম হিটম্যান চরিত্রের জন্য অনবদ্য ও অপূর্ব ।
সব শেষে পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকি যে নিপুন হাতে গল্পটি বুনেছেন এবং চরিত্র গুলোকে ফুটিয়ে তুলেছেন, প্রত্যেকের থেকে তার সেরা অভিনয়টি বের করে এনেছেন সেই জন্য তার প্ৰতি রইলো বিশেষ ভালোবাসা ও সন্মান।
আপনি যদি ক্রাইম থ্রিলারের ভক্ত হন তাহলে আপনার জন্য 'তাকদীর ' মাস্ট ওয়াচ, এটা আপনাকে পুরো তিন ঘন্টা টেনে ধরে রাখবে ।
সবাই ভালো থাকুন,
আপনি যদি ক্রাইম থ্রিলারের ভক্ত হন তাহলে আপনার জন্য 'তাকদীর ' মাস্ট ওয়াচ, এটা আপনাকে পুরো তিন ঘন্টা টেনে ধরে রাখবে ।
সবাই ভালো থাকুন,
সুস্থ থাকুন
Rainbow Subhro Scrapbooks.


ধন্যবাদ সবাই কে।।
উত্তরমুছুন