ওয়েবসিরিজ = বোধ । পরিচালক = অমিতাভ রেজা চৌধুরী। অভিনয় = আফজাল হোসইন, সারাহ আলম, শাজাহান সম্রাট, খাইরুল বাসার, রওনক হাসান ও আরো অনেকে। প্লাটফর্ম = হৈচৈ মুক্তি = 4th নভেম্বর 2022.
🌀 "একটা লোক প্রতিদিন একটার পর একটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে চলেছে, কিন্তু ঘুম তার আসছে না , যদিও বা মাঝে মাঝে ঘুম পাচ্ছে কিন্তু একটা বীভৎস দুস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে তার " - কিন্তু কেন ??
ঢাকা শহরের একজন অবসর প্রাপ্ত বিচারক আলমগীর হোসইন ( অভিনয়ের আফজল হোসইন ) বেশ কিছু দিন ধরেই anxiety ও ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তার মন খুব অস্থির। তিনি কিছুই মনে রাখতে পারছেন না । রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না, দুস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে বারবার। স্বপ্নে দুটো চেহারা বার বার তার সামনে ভেসে উঠছে, তার যেন বারবার আকারে ইঙ্গিতে কিছু বলতে চাইছে। এই দুইজনের মধ্যে একজন তার স্ত্রী দীপ্তি ( অভিনয়ে রুনা খান ) যে ২৫ বছর আগে একটি পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। অন্যজন বাহারুদ্দিন সুমন নামক এক সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, যাকে তিনি ৫বছর আগেই ৯ বছরের কারাবাসের শাস্তি দিয়েছেন । ( অভিনয়ে খাইরুল বাসার ) বিচারক সাহেব ভেবে পাচ্ছেন না কেন এই সুমন তার স্বপ্নে বারবার আসছে। সে কি বলতে চাইছে?
আমার দ্বিতীয় ভালোলাগা, গল্পের চরিত্র গুলোর সুন্দর অভিনয়। হ্যা, সত্যিই অভিনয়ের আলাদা করে প্রশংসা করতেই হয় ,সবাই নিজের নিজের সেরা কাজ করেছেন।তারমধ্যেও আমার আলাদা করে ভালো লেগেছে আফজাল হোসইন, রুনা খান,সারা আলম, শাজাহান সম্রাট ও রওনক হাসানের অভিনয় । এদের মধেও সেরা কাজ করেছেন শাজাহান সম্রাট ও রওনক হাসান । সারা আলম এবং শাজাহান সম্রাট সাথে রওনক হাসানের কিছু মুখোমুখি দৃশ্য ও সংলাপ এই সিরিজের আন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করা যায় ।
ওয়েব-সিরিজ = বোধ , ক্ষমতার আইন ,আইনের ক্ষমতা । [ প্রথম পর্ব ]
পরিচালক = অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
অভিনয় = আফজাল হোসইন, সারা আলম, শাজাহান সম্রাট, খাইরুল বাসার, রওনক হাসান ও আরো অনেকে।
প্লাটফর্ম = হৈচৈ
মুক্তি = 4th নভেম্বর 2022.
🌿 চলচ্চিত্র আমাদের জীবন যুদ্ধের স্বার্থক প্রতিচ্ছবি, আমাদের জীবনের প্রতিটা মুহুত্বের ঘাত-প্রতিঘাত, সুখ দুঃখ কষ্ট আনন্দর পরিস্ফুটিত হয় চলচ্চিত্র নামক শিল্পের পর্দায়। আর এরকম একটা সুন্দর, বাস্তববাদী, নয়নোভিরাম সিনেমা তৈরির নেপথ্যে অবশ্যই অনেকে সংগ্রাম ও কষ্ট লুকিয়ে থাকে। সুন্দর গল্প কালেক্ট করে সেটিকে টুকরো টুকরো দৃশ্য মাধ্যমে উপস্থাপন করা, তারপরে এই ছোটো ছোটো দৃশ্য গুলির সাথে গল্পের চরিত্রগুলির রসায়ন তৈরী করা, ইত্যাদি। আর একটা সৃজনশীল ভালো সিনেমার প্রাথমিক স্বর্ত হোলো জীবন থেকে আহরণ ।
পরিচালক = অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
অভিনয় = আফজাল হোসইন, সারা আলম, শাজাহান সম্রাট, খাইরুল বাসার, রওনক হাসান ও আরো অনেকে।
প্লাটফর্ম = হৈচৈ
মুক্তি = 4th নভেম্বর 2022.
🌿 চলচ্চিত্র আমাদের জীবন যুদ্ধের স্বার্থক প্রতিচ্ছবি, আমাদের জীবনের প্রতিটা মুহুত্বের ঘাত-প্রতিঘাত, সুখ দুঃখ কষ্ট আনন্দর পরিস্ফুটিত হয় চলচ্চিত্র নামক শিল্পের পর্দায়। আর এরকম একটা সুন্দর, বাস্তববাদী, নয়নোভিরাম সিনেমা তৈরির নেপথ্যে অবশ্যই অনেকে সংগ্রাম ও কষ্ট লুকিয়ে থাকে। সুন্দর গল্প কালেক্ট করে সেটিকে টুকরো টুকরো দৃশ্য মাধ্যমে উপস্থাপন করা, তারপরে এই ছোটো ছোটো দৃশ্য গুলির সাথে গল্পের চরিত্রগুলির রসায়ন তৈরী করা, ইত্যাদি। আর একটা সৃজনশীল ভালো সিনেমার প্রাথমিক স্বর্ত হোলো জীবন থেকে আহরণ ।
নমস্কার বন্ধুরা ,চলচ্চিত্র শিল্পের এরকম একটা উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত হল অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত বাংলা ওয়েব-সিরিজ "বোধ ".
বোধ মানে এখানে "বোধোদয় "
এটা এমন এক গল্প যেটা যতোটা অন্যর সাথে তারথেকেও বেশি নিজের সাথে, নিজের অন্তর আত্মার সাথে। অন্তরের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা। নিজের ব্যক্তি সত্ত্বাকে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা ।
বোধ মানে এখানে "বোধোদয় "
এটা এমন এক গল্প যেটা যতোটা অন্যর সাথে তারথেকেও বেশি নিজের সাথে, নিজের অন্তর আত্মার সাথে। অন্তরের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা। নিজের ব্যক্তি সত্ত্বাকে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা ।
🍄 গল্পের সংক্ষিপ্ত সার ::
ঢাকা শহরের একজন অবসর প্রাপ্ত বিচারক আলমগীর হোসইন ( অভিনয়ের আফজল হোসইন ) বেশ কিছু দিন ধরেই anxiety ও ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তার মন খুব অস্থির। তিনি কিছুই মনে রাখতে পারছেন না । রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না, দুস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে বারবার। স্বপ্নে দুটো চেহারা বার বার তার সামনে ভেসে উঠছে, তার যেন বারবার আকারে ইঙ্গিতে কিছু বলতে চাইছে। এই দুইজনের মধ্যে একজন তার স্ত্রী দীপ্তি ( অভিনয়ে রুনা খান ) যে ২৫ বছর আগে একটি পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। অন্যজন বাহারুদ্দিন সুমন নামক এক সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, যাকে তিনি ৫বছর আগেই ৯ বছরের কারাবাসের শাস্তি দিয়েছেন । ( অভিনয়ে খাইরুল বাসার ) বিচারক সাহেব ভেবে পাচ্ছেন না কেন এই সুমন তার স্বপ্নে বারবার আসছে। সে কি বলতে চাইছে?
আলমগীর সাহেবের একমাত্র মেয়ে শ্রাবন্তী, সে নিজেও একজন আইনজীবী । ( অভিনয়ে সারা আলম ) বাবাকে নিয়ে খুব চিন্তিত। শেষ পর্যন্ত বাবার মানসিক সুস্থতার জন্য সে নিজেই এই রহস্য সমাধানে অগ্রসর হয়। জেলে গিয়ে সুমনের সাথে দেখা করে এই কেস পুনঃ বিবেচনার আবেদন আদালতে জানায়। আর এই রহস্য সমাধানে D. B ডিপার্টমেন্ট থেকে এহেসান খান নামে এক টাফ অফিসার কে দায়িত্ব দেওয়া হয় ( অভিনয়ে শাহজাহান সম্রাট )। তার দুজনে এই কেস ইনভেস্টিগেশন করতে শুরু থাকে ততই বিষয় জটিল হতে শুরু হয়। শ্রাবন্তী একসময় বুঝতে পারে সুমন কেসের এই রহস্য এর সাথে ২৫ বছর আগে ঘটে যাওয়া তার মায়ের মৃত্যুর মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে এবং এই মধ্যে অনেকে বড়ো বড়ো ব্যাক্তিত্ব বা সিন্ডিকেট জড়িয়ে আছে। যারা ভয়ঙ্কর হিংস্র, নিজেদের বাঁচাতে তারা সব কিছু করতে পারে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসতে শুরু করে, কোথায় আছে কান টানলেই মাথা চলে আসে। উঠে আসে একদল ভূমি দস্যু দের ভয়ঙ্কর দুর্নীতি ও হিংশ্র এক চক্রান্ত এর ছবি। আলমগীর সাহেব অবসর ভেঙে আবার আদালতে আসেন এবারে তিনি ২৫ বছর আগে ঘটে যাওয়া তার স্ত্রীর হত্যা রহস্যর সমাধান করতে বদ্ধ পরিকর। অন্তরের বোধ তাকে সঠিক পথে চালিত করে চলে । অবিশ্বাস্য ভাবে দুটো মামলা একসূত্রে বাঁধা পড়ে যায়, বোঝা যায় দুটোর মধ্যেই গভীর সম্পর্ক আছে। আর এটাই এই সিরিজের আসল আকর্ষণ।
শেষ পর্যন্ত কি হয়, সুমন কি সত্যিই নিরাপরাধ ? আলমগীর সাহেবের বিবেকবোধ শক্তি সত্যিই কি খুঁজে বের করতে পারবে ২৫ বছরের আগেকার এক জঘন্য, অপ্রিয় সত্যি কে ? এই সব প্রশ্নের জবাব জানতে হলে অবশ্যই দেখে নিন, অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত "বোধ " নামক বাংলা ওয়েব-সিরিজটি।
💦 আমার ভালোলাগা ঃ
আমার প্রথম ভাললাগা অবশই সিরিজটির গল্প ,
খুব সুন্দর ভাবে একটা নির্দিষ্ট ছন্দে কাহিনি এগিছে ।গল্পটি যে ভাবে দর্শকদের নিকট উপস্থাপন করা হয়েছে তা চমৎকার ।
মাঝে আমার খুব মনে হত আমাদের আসে পাশে এত সমস্যা আছে কই এইসব গুলো নিয়ে তো কেউ কোনও সিনেমা বানায় না । গল্পের মাধ্যমে আমাদের মতন নাগরিকদের সচেতন করার মত কত বিশয় যে প্রায় প্রতিদিন আমাদের চারপাশে ঘটে চলেছে তার হিসাব আমরা কতজন মনে রাখি। আমিতাভ রেজা চৌধুরী এই সিরিজে সেই সব নাগরিক সমস্যা গুলোই আমাদের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন । তিনি আমাদের দেখিয়েছেন একটা মাঠ ই তো কখনো কখনো হয়ে উঠতে পারে একটা গল্প । এই যে আমাদের চারপাশে এত উন্ননয়ন এর ধাক্কায় হারিয়ে যেতে চলেছে আমাদের বিবেকবোধ ।
মাঝে আমার খুব মনে হত আমাদের আসে পাশে এত সমস্যা আছে কই এইসব গুলো নিয়ে তো কেউ কোনও সিনেমা বানায় না । গল্পের মাধ্যমে আমাদের মতন নাগরিকদের সচেতন করার মত কত বিশয় যে প্রায় প্রতিদিন আমাদের চারপাশে ঘটে চলেছে তার হিসাব আমরা কতজন মনে রাখি। আমিতাভ রেজা চৌধুরী এই সিরিজে সেই সব নাগরিক সমস্যা গুলোই আমাদের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন । তিনি আমাদের দেখিয়েছেন একটা মাঠ ই তো কখনো কখনো হয়ে উঠতে পারে একটা গল্প । এই যে আমাদের চারপাশে এত উন্ননয়ন এর ধাক্কায় হারিয়ে যেতে চলেছে আমাদের বিবেকবোধ ।
আমার দ্বিতীয় ভালোলাগা, গল্পের চরিত্র গুলোর সুন্দর অভিনয়। হ্যা, সত্যিই অভিনয়ের আলাদা করে প্রশংসা করতেই হয় ,সবাই নিজের নিজের সেরা কাজ করেছেন।তারমধ্যেও আমার আলাদা করে ভালো লেগেছে আফজাল হোসইন, রুনা খান,সারা আলম, শাজাহান সম্রাট ও রওনক হাসানের অভিনয় । এদের মধেও সেরা কাজ করেছেন শাজাহান সম্রাট ও রওনক হাসান । সারা আলম এবং শাজাহান সম্রাট সাথে রওনক হাসানের কিছু মুখোমুখি দৃশ্য ও সংলাপ এই সিরিজের আন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করা যায় ।
.jpeg)




মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন