ছেলেবেলা :: চ্যাপ্টার- 02 [ ১১/০৫ নং, ক্যাম্প হাউস ] 🌀
Exploring The Past :: My Childhood Memoirs 🟡
আমার ছেলেবেলা : পর্ব - ০৩
ছেলেবেলা নিয়ে যখন লেখা শুরু করেছিলাম, ভাবিনি এটা ধারাবাহিক ভাবে লিখবো,
[১১/০৫ নং, ক্যাম্প হাউস ]
#nostalgia #motivation
#অভিজ্ঞতা #inspiration #প্রেরণা #childhood
All writings and other content here are entirely the author's own., It may not be reproduced or copied in any form without the written permission of the owner.
ছেলেবেলা নিয়ে যখন লেখা শুরু করেছিলাম, ভাবিনি এটা ধারাবাহিক ভাবে লিখবো,
কারন এটাতো কোন আত্মজীবনী নয় । এটা আমার ছেলেবেলার কিছু রোমান্টিক ভাবনা ও কল্পনার পুনঃজন্মের এক অনুন্ধিৎসা মাত্র ।
লিখতে লিখতে মাথায় রাখিনি কে পড়বে,
লিখতে লিখতে মাথায় রাখিনি কে পড়বে,
কারণ সত্যিই এখন সবাই খুব ব্যস্ত । আর অতি সাধারণ কিছু ঘটনা, চিত্তাকর্ষণের মতন সেরকম কিছুই প্রায় নেই । একজন শিক্ষানবীশ হাতে লেখা সামান্য কিছু ভাবনা ।
এতো সব ভাবলে হয়তো লেখাটাই হত না।

এতো সব ভাবলে হয়তো লেখাটাই হত না।

🔰 আমি শুধু চেয়েছি ছেলেবেলার ভাবনা গুলোর মাধ্যমে শৈশবের মনকে আবার একবার একবার নিজের মতন করে খুঁজে পেতে । তবে লিখতে বসে অনুভব করছি এমন অনেক ঘটনা মনে পরে যাচ্ছে যেগুলো প্রায় ভুলে গেছিলাম, স্মৃতির গভীর অংশ থেকে আবার পুনঃ জীবন ফিরে পাচ্ছে ।
সত্যি সত্যি একটা পাহাড় প্রমান ভার মনের উপর থেকে নেমে যাচ্ছে এই লেখার মাধ্যমে ।
সত্যি সত্যি একটা পাহাড় প্রমান ভার মনের উপর থেকে নেমে যাচ্ছে এই লেখার মাধ্যমে ।
✅️ 🌼 যেসব মানুষেরা সত্যি সত্যি আমার ছেলেবেলার ঘটনা পড়েছেন, আমাকে এটা কন্টিনিউ করে যেতে বলেছেন বারংবার, তারাই আমার অনুপ্রেরণার উৎস , বিশেষ করে জয়ন্ত দত্ত [ টুটু দা ] সাহ আলম স্যার আর ব্যঙ্গালোর প্রবাসি স্বাতিলেখা সরকারের [ ঝুনু দি ] কথা বেশি করে মনে পরছে।
এদের চেতনার স্পর্শে ও উৎসাহে আমি আবার আমার ছেলেবেলা নিয়ে লিখতে সাহস পেয়েছি, তৎপর হয়েছি । 🙏🏻
এদের চেতনার স্পর্শে ও উৎসাহে আমি আবার আমার ছেলেবেলা নিয়ে লিখতে সাহস পেয়েছি, তৎপর হয়েছি । 🙏🏻
যাদের আমার ছেলেবেলার আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি,
তাদের অনুরোধ করবো এগুলো দেখে নেবার জন্য । আমার এই ব্লগে আগের পর্ব গুলো দেওয়া আছে ।
ধন্যবাদ সবাইকে । 🌼
🔰 ছেলেবেলা ::
চ্যাপ্টার- 02
চ্যাপ্টার- 02
পর্ব - ০৩
[১১/০৫ নং, ক্যাম্প হাউস ]
🅾️ যেখান আমার জন্ম এবং যেখানে আমার শৈশবের বেশিরভাগ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, সেটা একটি ক্যাম্প হাউস, একটা উদ্বাস্তু ক্যাম্প ।
সম্পূর্ণ এলাকাটাই পূর্ব বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ছিন্নমূল মানুষের আশ্রয়স্থল। বিভিন্ন জেলার আলাদা আলাদা মানুষ, একটি মিনি বাংলাদেশ ।
ছেলেবেলায় বুঝতে পারিনি,
কিন্তু এখন বুঝতে পারি ভারতবর্ষ স্বাধীন রাষ্ট্র রূপেআত্ম প্রকাশের পর থেকেই হটাৎ করে কি কঠিন পরিস্থিতি ও সমস্যার মধ্যে এই সব মানুষের পড়তে হয়েছিল, বেঁচে থাকার ন্যূনতম প্রাথমিক চাহিদার সন্ধানে সম্পূর্ণ অজানা পথে তাদের পাড়ি দিতে হয়েছিল উদ্বাস্তু তকমা মাথায় নিয়ে। এই পাহাড় প্রমান লজ্জা ও কষ্ট শুধুমাত্র অনাকাঙ্খিত নয়, ঘোরতর অন্যায় ও অপরাধ। দেশভাগ আসলে যে ক্ষমতার খেলা, কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করার নগ্ন প্রচেষ্টা, সেটা সবাই বোঝে।
কিন্তু সেটা ঠিক আছে, সাধারণ মানুষের সাথে তো এরকম হবার কথা ছিল না ।
🔰 দেশভাগ এদের জীবনে এনেছিল চরম বিপর্যয়ে ও তিক্ততা। নিজের গ্রামের নিশ্চিন্ত, স্বাচ্ছন্দের জীবন ছেড়ে ভাগ্যের ফেরে সম্পূর্ণ একটি অজানা পরিবেশে হতশ্রী জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল।
এই আঘাত তাদের জীবন বিষিয়ে দিলেও তারা নতুন ভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন, নতুন আশায়, নতুন পরিচয়ে।
খাদ্য ও বাসস্থান মানুষের বেঁচে থাকার মহার্ঘ্য বস্তু।
তাই পছন্দ না হলেও মানিয়ে নিতে শিখেছিলেন। না চাইলেও এক বাড়ির মধ্যে থাকতে হত, একটাই উঠোন ভাগাভাগি করতে হত। আর একটা ছিল তাদের জীবনের কঠিন বাস্তব।
সম্পূর্ণ এলাকাটাই পূর্ব বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ছিন্নমূল মানুষের আশ্রয়স্থল। বিভিন্ন জেলার আলাদা আলাদা মানুষ, একটি মিনি বাংলাদেশ ।
ছেলেবেলায় বুঝতে পারিনি,
কিন্তু এখন বুঝতে পারি ভারতবর্ষ স্বাধীন রাষ্ট্র রূপেআত্ম প্রকাশের পর থেকেই হটাৎ করে কি কঠিন পরিস্থিতি ও সমস্যার মধ্যে এই সব মানুষের পড়তে হয়েছিল, বেঁচে থাকার ন্যূনতম প্রাথমিক চাহিদার সন্ধানে সম্পূর্ণ অজানা পথে তাদের পাড়ি দিতে হয়েছিল উদ্বাস্তু তকমা মাথায় নিয়ে। এই পাহাড় প্রমান লজ্জা ও কষ্ট শুধুমাত্র অনাকাঙ্খিত নয়, ঘোরতর অন্যায় ও অপরাধ। দেশভাগ আসলে যে ক্ষমতার খেলা, কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করার নগ্ন প্রচেষ্টা, সেটা সবাই বোঝে।
কিন্তু সেটা ঠিক আছে, সাধারণ মানুষের সাথে তো এরকম হবার কথা ছিল না ।
🔰 দেশভাগ এদের জীবনে এনেছিল চরম বিপর্যয়ে ও তিক্ততা। নিজের গ্রামের নিশ্চিন্ত, স্বাচ্ছন্দের জীবন ছেড়ে ভাগ্যের ফেরে সম্পূর্ণ একটি অজানা পরিবেশে হতশ্রী জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল।
এই আঘাত তাদের জীবন বিষিয়ে দিলেও তারা নতুন ভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন, নতুন আশায়, নতুন পরিচয়ে।
খাদ্য ও বাসস্থান মানুষের বেঁচে থাকার মহার্ঘ্য বস্তু।
তাই পছন্দ না হলেও মানিয়ে নিতে শিখেছিলেন। না চাইলেও এক বাড়ির মধ্যে থাকতে হত, একটাই উঠোন ভাগাভাগি করতে হত। আর একটা ছিল তাদের জীবনের কঠিন বাস্তব।
🔰 বুঝি নিজের বাড়ি, জমি স্মৃতি সবকিছু রাতারাতি ছেড়ে আসার মধ্যে কতটা কষ্ট।
মানুষের বিশ্বাস ই তার একমাত্র শক্তি। সেই জন্য বুক ভাঙুক বা স্বপ্ন তারা এগিয়ে চলেছেন।
তারা নতুন ভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন,নতুন আশায়, নতুন পরিচয়ে। পছন্দ না হলেও মানিয়ে নিতে শিখেছিলেন। জীবনে বেঁচে থাকাটাই তাদের কাছে এক কঠিন সংগ্রাম ।
🔰 এই ক্যাম্প এর পরিবেশ মাড়োয়ারি গোডাউনের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা ও সংবেদনশীল। যদিও সেই সময়ে আমার পক্ষে এই সব অনুভব করা সম্ভব ছিল না । আমি খুবই ছোট ।
ক্যাম্পের ঘরগুলোর তৈরী করা হয়েছিল একই রকমের গঠন ও আকৃতি। অনেকটা সরকারি কোয়ার্টারের মতন। গোলাকার মুখোমুখি মাঝে একটা কমন উঠোন অথবা লম্বা সারিবদ্ধ ট্রেন লাইনের মত। একটা টানা ছাদের নিচে খুব ছোট ছোট পরপর ঘর, জানলা এতো ছোট ছোট হত যে ঘরের ভিতরে দিনেও অন্ধকারের বাতাবরন।
তারা নতুন ভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন,নতুন আশায়, নতুন পরিচয়ে। পছন্দ না হলেও মানিয়ে নিতে শিখেছিলেন। জীবনে বেঁচে থাকাটাই তাদের কাছে এক কঠিন সংগ্রাম ।
🔰 এই ক্যাম্প এর পরিবেশ মাড়োয়ারি গোডাউনের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা ও সংবেদনশীল। যদিও সেই সময়ে আমার পক্ষে এই সব অনুভব করা সম্ভব ছিল না । আমি খুবই ছোট ।
ক্যাম্পের ঘরগুলোর তৈরী করা হয়েছিল একই রকমের গঠন ও আকৃতি। অনেকটা সরকারি কোয়ার্টারের মতন। গোলাকার মুখোমুখি মাঝে একটা কমন উঠোন অথবা লম্বা সারিবদ্ধ ট্রেন লাইনের মত। একটা টানা ছাদের নিচে খুব ছোট ছোট পরপর ঘর, জানলা এতো ছোট ছোট হত যে ঘরের ভিতরে দিনেও অন্ধকারের বাতাবরন।
🔰 এলাকা চিহ্নিত হত, নাম্বার অনুযায়ী যেমন ৭নং, ১৪নং, ২১নং ২৫নং ১৭নং ২২ নং এরকম । নাম্বার মানে পাড়া।
এই নাম্বারর মধ্যে আবার প্রতিটি বাড়ি গুলোর নাম্বার দিয়ে আইডেন্টিফাই করা হত, শুধু নাম্বার, কোন পরিচয় নেই । অনেকটা জেলখানার মতন । খুব করুণ ।
এই নাম্বারর মধ্যে আবার প্রতিটি বাড়ি গুলোর নাম্বার দিয়ে আইডেন্টিফাই করা হত, শুধু নাম্বার, কোন পরিচয় নেই । অনেকটা জেলখানার মতন । খুব করুণ ।
এই নাম্বার গুলো এখনো স্বমহিমায় বিরাজমান।
আমরা জন্ম এরকম ১১ নং ক্যাম্পের ৫নং বাড়িতে। এটা একটা গোলাকার আকৃতির মোট 4টে বিল্ডিং, যেটা ভাগাভাগি করে 7 টা পরিবারের বাস। সরল ও অনারম্ভর জীবন যাত্রায় অভ্যস্থ কিছু মানুষ, ছেলেবেলায় এই বাড়ির সবাইকে নিজেদের পরিবারের সদস্য বলেই মনে হত , মানে একটা বৃহৎ একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য। সেই সময়ে বিকল্প ভাবনা কিছুই কখন মাথায় আসেনি । সবার ঘরে সবার প্রবেশ ছিল প্রায় অবাধ ও সহজ।
আমরা জন্ম এরকম ১১ নং ক্যাম্পের ৫নং বাড়িতে। এটা একটা গোলাকার আকৃতির মোট 4টে বিল্ডিং, যেটা ভাগাভাগি করে 7 টা পরিবারের বাস। সরল ও অনারম্ভর জীবন যাত্রায় অভ্যস্থ কিছু মানুষ, ছেলেবেলায় এই বাড়ির সবাইকে নিজেদের পরিবারের সদস্য বলেই মনে হত , মানে একটা বৃহৎ একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য। সেই সময়ে বিকল্প ভাবনা কিছুই কখন মাথায় আসেনি । সবার ঘরে সবার প্রবেশ ছিল প্রায় অবাধ ও সহজ।
🔰 পরিস্থিতি সব সময়ে এক রকম হত না, বিশেষ বিশেষ সময়ে এই অবস্থানের পরিবর্তন ঘটতো, খুব সামান্য কোন বিষয়ে একে উপরের উপরের ক্ষোভ উগরে দিত প্রবল পরাক্রমে। এই আঘাত-প্রত্যাঘাত স্থায়ী হত বেশ কিছু দিন, তখন প্রায় মুখ দেখা দেখি বন্ধ, যদিও ছোটদের উপরের এই সব ঘটনার রেশ খুব কম পরতো, সময়ের সাথে সাথে এই পর্বের অতিবাহিত হত ,তখন আগমন হত এক বিষাদ-মেদুর পরিস্থিতির, তার পরেই আবার সহজ সহবস্থান।
আমরা থাকতাম নিয়ে লাস্ট বিল্ডিং এ, এখানে ছিল চারটে রুম আর সামনে ছোট্ট একটা বারান্দা, রুমের আকৃতি এতো ছোট সেখানে আলমারি, খাট ছাড়া আর কিছুই রাখা যেত না, একটা ঘর থেকে অন্য ঘরে যাবার জায়গা খুব কম। সামনের কমন উঠোন , এটাই আমাদের কার্যকলাপের কেন্দ্র ।
অনেকটা স্টেডিয়ামের মতন, গোলাকৃতির ঘর গুলো স্টেডিয়াম আর মধ্যের উঠোন হলো মাঠ।
আমরা থাকতাম নিয়ে লাস্ট বিল্ডিং এ, এখানে ছিল চারটে রুম আর সামনে ছোট্ট একটা বারান্দা, রুমের আকৃতি এতো ছোট সেখানে আলমারি, খাট ছাড়া আর কিছুই রাখা যেত না, একটা ঘর থেকে অন্য ঘরে যাবার জায়গা খুব কম। সামনের কমন উঠোন , এটাই আমাদের কার্যকলাপের কেন্দ্র ।
অনেকটা স্টেডিয়ামের মতন, গোলাকৃতির ঘর গুলো স্টেডিয়াম আর মধ্যের উঠোন হলো মাঠ।
ক্রমশঃ 🌼
[ বাকিটা পরবর্তী পর্বে ]
[ বাকিটা পরবর্তী পর্বে ]
#nostalgia #motivation
#অভিজ্ঞতা #inspiration #প্রেরণা #childhood
as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন