ছেলেবেলা :: চ্যাপ্টার- 02 পর্ব - ০৪ [১১/০৫ নং, ক্যাম্প হাউস ] 🟡🈹
🔰 আমার ছেলেবেলা :: Unearthing The Past :: First Glimpses of My Childhood Memories
মাড়োয়ারি গোডাউন আর ক্যাম্পের বাড়ির পরিবেশ অনেকটাই আলাদা হলেও,
🟡 ছেলেবেলার এই স্মৃতি রোমান্থন করতে করতে অনুভব করতে পারি আমার শৈশবের চিন্তা-ভাবনা সাথে বাগান, গাছ, জঙ্গল যতটা আন্তরিক ভাবে আলোকিত হয়ে আছে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অন্যন্য লোকায়ত চিন্তা ভাবনা বিষয়গুলো ততটা ইতিবাচক ভাবে মনে নেই ।আমাদের জীবনে কত কিছুই না ঘটনা থাকে, তার কতটা আমারা মনে রাখতে পারি বা পেরেছি ? বেশিরভাগই বিস্মিতির আড়ালে চলে যায় । তবে জঙ্গল আর গাছপালার প্রতি আকর্ষণ বোধ করি অন্তরের। ইচ্ছে করে খুব গভীর জঙ্গলের ভীতরে থাকার , রাত্রি যাপন করার আভিয়গতা সঞ্চয়ের ,
আমার কাছে মনগ্ন ও চিত্তকর্ষক অনুপ্রেরণার উৎসবস্তু এখনোও সমভাবে বজায় ছিল।
দাদুবাড়িতে যেমন আমার মূল আকর্ষণ ছিল বাড়ির চারপাশের দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠ ও বাড়ির পিছনের ছোট্ট বাগান।
তেমনি এই বাড়িতে আমার শৈশবের আনন্দ -অনুপ্রেরণার উৎস ছিল সামনের বিরাট বড় কংক্রিটের তৈরী এয়ারপোর্ট রানওয়ে, ( প্রায় 4 লেন কোথাও কোথাও 6 লেন )
দাদুবাড়িতে যেমন আমার মূল আকর্ষণ ছিল বাড়ির চারপাশের দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠ ও বাড়ির পিছনের ছোট্ট বাগান।
তেমনি এই বাড়িতে আমার শৈশবের আনন্দ -অনুপ্রেরণার উৎস ছিল সামনের বিরাট বড় কংক্রিটের তৈরী এয়ারপোর্ট রানওয়ে, ( প্রায় 4 লেন কোথাও কোথাও 6 লেন )
ও বাড়ির পিছনের বিরাট জঙ্গল।
🔴 দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের একদম শেষ দিকে তৈরী এই এয়ারপোর্ট [ ১৯৪৪ সালে, জাপানের আক্রমণের হাত থেকে ভারতকে রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ সরকার এটা তৈরী করেছিলেন ]
🔴 দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের একদম শেষ দিকে তৈরী এই এয়ারপোর্ট [ ১৯৪৪ সালে, জাপানের আক্রমণের হাত থেকে ভারতকে রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ সরকার এটা তৈরী করেছিলেন ]
সেই সময়ে তার উজ্জ্বলতার দীপ্তি হারালেও আমাদের শৈশব মনের উপরে এর প্রভাব ছিল অত্যন্ত গভীর ।
[ আমি এই এয়ারপোর্ট নিয়ে তিনটে ভিডিও তৈরী করেছি ইউটিউবে ]
ছেলেবেলায় যে কত রকমের গল্পকাহানী শুনেছি এই এয়ারপোর্ট আর বিশ্বযুদ্ধকে কেন্দ্র করে, তার কোন শেষ নেই । এই সব গল্প গুলোর বেশিরভাগ আদ্যন্ত মনগড়া সাধনার ফল । তবে সে যাইহোক, গল্প গুলো যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক ও উত্তেজনারময় হত এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এই সব গল্প গুলোই হয়তো আমার শিশু মনে অনুন্ধিসার বীজ বপনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিল ,
যেটা আমার ভিতরে ইতিহাসের উপরে ভালবাসার উন্মেষ ঘটাতে সাহায্য করেছে ।
তবে আমার মনে গভীর ইন্ধন জুগিয়ে তুলতো কিছু প্রশ্ন,
তবে আমার মনে গভীর ইন্ধন জুগিয়ে তুলতো কিছু প্রশ্ন,
যেমন এয়ারপোর্ট আসলে ঠিক কি ?
কেন এখানে এয়ারপোর্ট তৈরী করা হয়েছিল ? কারা এখানে থাকতো ?
যুদ্ধ কেন হয়েছিল ? এয়ারপোর্ট বন্ধ হল কেন ?
কেন এখানে এয়ারপোর্ট তৈরী করা হয়েছিল ? কারা এখানে থাকতো ?
যুদ্ধ কেন হয়েছিল ? এয়ারপোর্ট বন্ধ হল কেন ?
এইরকমের আরো এরকম অনেক কিছু ।
🟡 কিন্তু এর ইতিবাচক সঠিক উত্তর পেতে আমাকে অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে । এখন ইতিহাসের এই কাহিনী অনেকটাই আত্মস্থ করেছি, সম্যক উপলব্ধির আলোতে আলোকিত হয়ে বুঝেছি,
যুদ্ধ আসলে অনেক রকমের । তার অনেক রুপ । কখনো যুদ্ধ একটা দেশের সাথে অন্য দেশের, কোন যুদ্ধ একটি জাতির সাথে অন্য জাতির, কখনো একটি ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের । কখনো একটা মানসিকতার সাথে ভিন্ন মানসিকতার। তবে কিন্তু একটা যুদ্ধ মানুষ তাঁর জন্মে লগ্ন থেকেই করে চলেছে, মানুষের সাথে মানুষের সাথে লড়াই, এই সংগ্রাম খাদ্য- বাসস্থান সংগ্রহ করার, নিজ আধিপত্য সুপ্রতিষ্টিত করার এক অবিরত সংগ্রাম।
- ক্যাম্প হাউস এর পিছনে
🟠 সেই সময়ে লোরশেডিং ছিল রীতিমতোন নিশ্চিত একটা ব্যপার, একবার কারেন্ট গেলে মিনিমাম একঘন্টা তো মোটামুটি নিশ্চিত, এটা বড়দের কাছে বিরক্তির কারন হলেও ছোটদের কাছে ভীষণ মজার, কিছু সময় পড়াশোনা বন্ধ, এই সময়ে এই এয়ারপোর্ট রানওয়ে উপরে শতরঞ্চি বা মাদুর পেতে শুয়ে-শুয়ে আকাশ দেখা আর গল্প করা ,আড্ডা দেওয়া। কত রকমের দেশ- বিদেশের গল্প যে শনা যেত তা বলে শেষ করা যাবে না।
এই সব ছোট-ছোট আনন্দ গুলোই আমাদের সাথে ওতোপ্রত ভাবে জড়িয়ে থাকতো যে, হয়তো বলা যায় এগুলোই ছিল সেই সময়ের জীবনের সুদূর প্রসারী চালিকা শক্তি।
🟢 মাড়োয়ারি গোডাউন ঘর যেমন ছিল বিরাট আকৃতির, তেমনি এই বাড়ির ঘর ছিল ততটাই খরবাকৃতির, নিচু, কিছুটা অন্ধকারময় । এই ঘরে একটা খাট, আলমারি ছাড়া আর বিশেষ কিছু রাখার জায়গা হত না। আমাদের বিল্ডিং মোট চারটি ঘর ছিল । তারমধ্যে একটা আমাদের বেড রুম, আর বাকি তিনটের অন্যান্য কাজে ব্যবহার কোড়া হত । এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট কোনার রুমটা ছিল আমাদের স্টাডি রুম । অবস্থান ও আকৃতিতে এটা সব চেয়ে ছোট ও অবহেলিত হলেও আমার মনে উপরে এই ঘরের প্রভাব সর্বাঙ্গ ভাবেই প্রবল ।
এই সব ছোট-ছোট আনন্দ গুলোই আমাদের সাথে ওতোপ্রত ভাবে জড়িয়ে থাকতো যে, হয়তো বলা যায় এগুলোই ছিল সেই সময়ের জীবনের সুদূর প্রসারী চালিকা শক্তি।
🟢 মাড়োয়ারি গোডাউন ঘর যেমন ছিল বিরাট আকৃতির, তেমনি এই বাড়ির ঘর ছিল ততটাই খরবাকৃতির, নিচু, কিছুটা অন্ধকারময় । এই ঘরে একটা খাট, আলমারি ছাড়া আর বিশেষ কিছু রাখার জায়গা হত না। আমাদের বিল্ডিং মোট চারটি ঘর ছিল । তারমধ্যে একটা আমাদের বেড রুম, আর বাকি তিনটের অন্যান্য কাজে ব্যবহার কোড়া হত । এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট কোনার রুমটা ছিল আমাদের স্টাডি রুম । অবস্থান ও আকৃতিতে এটা সব চেয়ে ছোট ও অবহেলিত হলেও আমার মনে উপরে এই ঘরের প্রভাব সর্বাঙ্গ ভাবেই প্রবল ।
This Was My Experimental Rooom . এই ঘরের ছোট জানাল খুলে দিলেই চোখের সামনে ভেসে উঠতো বাড়ির পিছনের বিরাট এক জঙ্গলের।
( আসলে প্রচুর গাছপালা ভর্তি একটা বাগান, কিন্তু পরিচর্যার অভাবে রীতিমতো জঙ্গল মনে হত )
অনেকটা এই রকমের জানালা ছিল ।
🟠 আমি যথার্থ একজন প্রকৃতি প্রেমিক কিনা বলতে পারবো না, তবে প্রকৃতির অকৃত্রিম সৃষ্টির উপরে গভীর অনুরাগ শৈশবকাল থেকেই অনুভব করি। তাই তো শৈশব জীবনের ছবির ক্যানভাসে এতো বছর পরেও এই বাগানের প্ৰতি ভালোবাসার অনুভূতি আজ ও অটুট।
জানাল খুলে বাগান দেখার নির্ভেজাল আনন্দ আজ অতিমাত্রায় মিস করি।
ফসিলসের ভাষায়, হয়তো কখনো-কখনো বলতে পারি.....
জানাল খুলে বাগান দেখার নির্ভেজাল আনন্দ আজ অতিমাত্রায় মিস করি।
ফসিলসের ভাষায়, হয়তো কখনো-কখনো বলতে পারি.....
মনে পরে এখানেই গন্ধরাজ ফুলের গাছের ডালে দড়ি দিয়ে বানানো আমাদের ছোট্ট দোলনার কথা। এই দোলনায় বন্ধু দের সাথে প্রবল পরক্রমে চড়া । এর ডালে বসে ভাত খাওয়া আরও কতো কিছু ।
এখানেই ছিল আমাদের কমলা লেবুর গাছ । এলাকার একমাত্র কমলা লেবুর গাছ । যেটা একাই আমাদের গৌরবানিত্ব করার পক্ষে যথেষ্ট।
শৈশবের নস্টালজিয়ার টানে বা মায়াবী মোহে অনেকবার আমি ফিরে গিয়েছি এই বাগানে। চেতনার স্পর্শে মুগ্ধ হতে চেয়েছি বারবার। কিন্তু যতবার গিয়েছি ততই হতাশ হয়েছি, কোথায় সেই জঙ্গল ? কোথায় বড় বাগান ? কোথায় দোলনা আর কোথায় বা সেই গন্ধরাজ ফুল গাছের বেকানো ডাল ?
শৈশবের নস্টালজিয়ার টানে বা মায়াবী মোহে অনেকবার আমি ফিরে গিয়েছি এই বাগানে। চেতনার স্পর্শে মুগ্ধ হতে চেয়েছি বারবার। কিন্তু যতবার গিয়েছি ততই হতাশ হয়েছি, কোথায় সেই জঙ্গল ? কোথায় বড় বাগান ? কোথায় দোলনা আর কোথায় বা সেই গন্ধরাজ ফুল গাছের বেকানো ডাল ?
যেখানে বসে আমার ছোট্ট দুটো হতে বাঁশি বাজাতাম।
🔵 যদি কোন মায়াবী জাদুতে চমকপ্রদ ভাবে শৈশবের সেই দিনে ফিরে যাওয়া যেত... If there is a Chance,
🔵 যদি কোন মায়াবী জাদুতে চমকপ্রদ ভাবে শৈশবের সেই দিনে ফিরে যাওয়া যেত... If there is a Chance,
তাহলে ওর গায়ে হাত দিয়ে, আমি জানতে চাইতাঅর, এই যে বদলে যাবার সময়ে, সবাই যেমন পরিবর্তন পথে অতিমাত্রয় তৎপর, এরকম সময়ে তুই কেমন আছিস বন্ধু ?
আমি কি এখনো চাইলে সেই আগের মতন তোর ডালে বসে বাঁশি বাজাতে পারবো, বসে বসে ভাত খেতে পারবো ,
ঝুলতে পারবো তোর ডালে সেই আকৃত্রিম ভালোবাসায় , স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে ।
আরও একটা কথা , তোকে উৎখাত করার জন্য আমি ঐকান্তিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী, পারলে তোর এই ছোট্ট বন্ধুকে ক্ষমা করিস ।
🟡 ছেলেবেলার এই স্মৃতি রোমান্থন করতে করতে অনুভব করতে পারি আমার শৈশবের চিন্তা-ভাবনা সাথে বাগান, গাছ, জঙ্গল যতটা আন্তরিক ভাবে আলোকিত হয়ে আছে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অন্যন্য লোকায়ত চিন্তা ভাবনা বিষয়গুলো ততটা ইতিবাচক ভাবে মনে নেই ।আমাদের জীবনে কত কিছুই না ঘটনা থাকে, তার কতটা আমারা মনে রাখতে পারি বা পেরেছি ? বেশিরভাগই বিস্মিতির আড়ালে চলে যায় । তবে জঙ্গল আর গাছপালার প্রতি আকর্ষণ বোধ করি অন্তরের। ইচ্ছে করে খুব গভীর জঙ্গলের ভীতরে থাকার , রাত্রি যাপন করার আভিয়গতা সঞ্চয়ের ,
[ জঙ্গলে থেকেছি তবে গভীর জঙ্গলের আভিগন্তা এখন হয় নি ]
গাছ কেটে বিল্ডিং তৈরি হতে দেখলে মন বিমর্ষ হয়, জানি পরিবর্তনই জীবনে ধর্ম ,
যা চলে গেছে সে আর ফেরত আসবে না ,
তবু খারাপ লাগে । 🔶
ক্রমশঃ
[ বাকিটা পরবর্তী পর্বে ]
If You would Like to Give any Feedback Or Suggestions,
Then Please Feel Free to Email Me.
subhra2579@ gmail.com
All writings and other content here are entirely the author's own., It may not be reproduced or copied in any form without the written permission of the owner. as per Section 14 of the Copyright Act of 1957.
.jpeg)

.jpeg)


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন