অ-পা বাড়ি ও কিছু হুজুকে বাঙালীর গল্প 🔰 শ্যামবাটি, ফুলডাঙ্গা, শান্তিনিকেতন,
অ-পা বাড়ি ও কিছু হুজুকে বাঙালীর গল্প 🔰
㊙️ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খুব কাছে শ্যামবাটির মৌজার অন্তরগত ফুলডাঙ্গা অঞ্চলে প্রায় ১০ কাঠা জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই বাড়িটি এখন শান্তিনিকেতনের অন্যতম আকর্ষণ।
মুম্বাই গেলে যেমন পর্যটকদের কাছে মুকেশ আম্বানির বাড়ি 'এন্টিলা ", শাহরুখ খানের বাড়ি 'মান্নাত' বা রেমন্ড এর কর্ণধার গৌতম সিংহানিয়া বাড়ি J. K House অন্যতম এট্ট্রাকশন।
তেমনই ভাবেই এখানে এই অ-পা হাউস বাঙালী পর্যটকদের চাক্ষিক আস্বাদ ধারাবাহিক ভাবে পরিপূর্ণ করে চলেছে।

🟠 ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা জানতে পেরে কিছুটা হাসি পেলেও, ভেবেছিলাম সুযোগ পেলে
আর সেই নব প্রজ্বলিত জ্ঞানের আলো চারপাশে ছড়িয়ে দেওয়া, এটাই ছিল ঠাকুর বাড়ি আর শান্তিনিকেতনে আসা এই সব শিক্ষক ও জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের মূল উদ্দেশ্য ‼️
㊙️ এবারের ছুটিতে শান্তিনিকেতন যাবার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবার সাথে সাথেই মনের মধ্যে পুরানো ইচ্ছে জেগে উঠলো, ফুলডাঙ্গা অঞ্চলেই একটা হোম স্টে উঠলাম, শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙ্গা সত্যি ফুলেই মতন সুন্দর অঞ্চল, প্রচুর গাছ আর সুন্দর সুন্দর বাংলো প্ররিপূর্ণ । আমাদের হোমস্টে খেয়াল খূব সুন্দর , এর ঠিক পিছনেই আ-পা হাউস।
কাছে গিয়ে দেখলাম সুন্দর একতলা প্রাচীল ঘেরা একটা বাড়ি, প্রাচীলের বাইরে অ-পা খোদাই করে লেখা, প্রচুর মানুষ টোটো করে এই বাড়ি দেখতে এসেছেন, ছবি তুলছেন। মজা করছেন ।
.jpeg)
🟠 স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে শান্তিনিকেতনে সারা বছরে পর্যটকদের ভিড় থাকে, পৌষ মেলা, বসন্ত উৎসবের সময় তা জনঅরণ্য পরিণত হয়, কিন্তু এই আ-পা বাড়ি দেখতে যে দূর দুরন্ত থেকে মানুষ আসবে তা তাদের কাছে ধারণার অতীত ।
সত্যিই কী বিচিত্র আমাদের এই দেশ ?
শ্যামবাটি, ফুলডাঙ্গা,
শান্তিনিকেতন। অর্পিতা-পার্থ
🅾️ঘটনার তাৎক্ষণিকতায় রাজ্যবাসী প্রাথমিক ভাবে হতবাক ও বিমূঢ় হয়ে পড়লেও, ইতিমধ্যে বেশ স্পষ্ট এই অতিঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনার জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তীত। অনুমান অমূলক নয়, সমাজের অনেক তাবড় তাবড় ব্যক্তি এই অনাচারের সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে যুক্ত।
🟠 এই সময়েই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল পার্থচ্যাটার্জী ও অর্পিতা মুখাজী শান্তিনিকেতনের আরো একটি বাগান বাড়ির সংবাদ, আ-পা নামক এই বাগান বাড়িতে C. B. I হানা দিয়েছিল। তাৎপর্য ভাবে বাড়িটির এই বিশেষ নাম একে তুলে দিয়েছিল খবরের বিশেষ শিরোনামে, অ -পা
মানে কি ? অর্পিতা-পার্থ ?
অতঃপর তখন থেকেই এই অপা বাড়ি হয়ে উঠে শান্তিনিকেতনের অন্যতম এক টুরিস্ট আকর্ষণ।
পার্থ চ্যাটার্জী ও অর্পিতা মুখার্জী উভয়ে এখন বিচারাধীন, সংশোধনাগারে আবদ্ধ,। আইন আইনের পথে চলছে, প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক, কিন্তু জনগণের নির্ভেজাল কৌতূহল ও আকর্ষণের আষ্টেপিষ্টে বাঁধা পরে গেছে অ-পা নামক এই বাড়িটি।
🟠 এই সময়েই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল পার্থচ্যাটার্জী ও অর্পিতা মুখাজী শান্তিনিকেতনের আরো একটি বাগান বাড়ির সংবাদ, আ-পা নামক এই বাগান বাড়িতে C. B. I হানা দিয়েছিল। তাৎপর্য ভাবে বাড়িটির এই বিশেষ নাম একে তুলে দিয়েছিল খবরের বিশেষ শিরোনামে, অ -পা
মানে কি ? অর্পিতা-পার্থ ?
অতঃপর তখন থেকেই এই অপা বাড়ি হয়ে উঠে শান্তিনিকেতনের অন্যতম এক টুরিস্ট আকর্ষণ।
পার্থ চ্যাটার্জী ও অর্পিতা মুখার্জী উভয়ে এখন বিচারাধীন, সংশোধনাগারে আবদ্ধ,। আইন আইনের পথে চলছে, প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক, কিন্তু জনগণের নির্ভেজাল কৌতূহল ও আকর্ষণের আষ্টেপিষ্টে বাঁধা পরে গেছে অ-পা নামক এই বাড়িটি।
㊙️ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খুব কাছে শ্যামবাটির মৌজার অন্তরগত ফুলডাঙ্গা অঞ্চলে প্রায় ১০ কাঠা জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই বাড়িটি এখন শান্তিনিকেতনের অন্যতম আকর্ষণ।
মুম্বাই গেলে যেমন পর্যটকদের কাছে মুকেশ আম্বানির বাড়ি 'এন্টিলা ", শাহরুখ খানের বাড়ি 'মান্নাত' বা রেমন্ড এর কর্ণধার গৌতম সিংহানিয়া বাড়ি J. K House অন্যতম এট্ট্রাকশন।
তেমনই ভাবেই এখানে এই অ-পা হাউস বাঙালী পর্যটকদের চাক্ষিক আস্বাদ ধারাবাহিক ভাবে পরিপূর্ণ করে চলেছে।

🟠 ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা জানতে পেরে কিছুটা হাসি পেলেও, ভেবেছিলাম সুযোগ পেলে
[শান্তিনিকেতনে তো যাওয়া হয় ] একবার নয় এই অপা হাউসের সামনে যাবো ।
বাড়িটির প্ৰতি আকর্ষণের থেকেও দেখতে চাই,
সত্যিই কি এখনো এখানে পর্যটক দেখতে আসেন এই অ-পা হাউস ? এখানে এসে ছবি তোলেন ?
ঘটনার এক বছর অতিক্রম হয়ে যাবার পরেও ?
ব্যাপার কি সত্যি, না পুরোটাই মিডিয়ার অতিরঞ্জিত পরিবেশন ?
ঘটনার এক বছর অতিক্রম হয়ে যাবার পরেও ?
ব্যাপার কি সত্যি, না পুরোটাই মিডিয়ার অতিরঞ্জিত পরিবেশন ?
㊙️ জানি শান্তিনিকেতন একটি সাধারণ জায়গা নয়, আর বিশ্বভারতী শুধু মাত্র একটি সামান্য প্রতিস্থান নয় । নিজের সর্বস্ব দিয়ে রবীন্দ্রনাথ গড়ে তুলে ছিলেন শান্তিনিকেতনকে । ডেকে এনেছিলেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ ও জ্ঞানীগুণী মানুষদের । তার পুত্র রথীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর জমিতে বাস্ করার উপযুক্ত জায়গা দিয়েছিলেন এই সব জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের, দীর্ঘমেয়াদি লিজ দিয়ে। সেই সময়ের সম্পদ ছিল শান্তিনিকেতনের উন্মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে বসে জ্ঞান ও শিল্প চৰ্চা করা ।
আর সেই নব প্রজ্বলিত জ্ঞানের আলো চারপাশে ছড়িয়ে দেওয়া, এটাই ছিল ঠাকুর বাড়ি আর শান্তিনিকেতনে আসা এই সব শিক্ষক ও জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের মূল উদ্দেশ্য ‼️㊙️ এবারের ছুটিতে শান্তিনিকেতন যাবার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবার সাথে সাথেই মনের মধ্যে পুরানো ইচ্ছে জেগে উঠলো, ফুলডাঙ্গা অঞ্চলেই একটা হোম স্টে উঠলাম, শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙ্গা সত্যি ফুলেই মতন সুন্দর অঞ্চল, প্রচুর গাছ আর সুন্দর সুন্দর বাংলো প্ররিপূর্ণ । আমাদের হোমস্টে খেয়াল খূব সুন্দর , এর ঠিক পিছনেই আ-পা হাউস।
কাছে গিয়ে দেখলাম সুন্দর একতলা প্রাচীল ঘেরা একটা বাড়ি, প্রাচীলের বাইরে অ-পা খোদাই করে লেখা, প্রচুর মানুষ টোটো করে এই বাড়ি দেখতে এসেছেন, ছবি তুলছেন। মজা করছেন ।
㊙️ এখানেই আলাপ হল যাদবপুরের বাসিন্দা রজত সেনের সাথে, জানালেন কনকালী তলায় পূজো দিয়ে ফেরার পথে আপা বাড়ি দেখতে এসেছেন।
বহরমপুর থেকে পরিবার সহ এসেছেন তন্ময় ঘোষ, বললেন টি. ভি তে এই বাড়ির নিয়ে অনেক খবর শুনেছেন, দেখেছেন, তাই শান্তিনিকেতনে ঘুরতে এসে সামনাসামনি দেখা মিস করতে চাননি, তাই সবাই মিলে চলে এসেছেন।
একটা মেলা মতন, টোটো করে পর্যটক আসছেন, হৈ-হৈ করছেন, সেলফি তুলছেন,আনন্দ করছেন।
হুজুকে বাঙালী হয়তো একেই বলে।
বহরমপুর থেকে পরিবার সহ এসেছেন তন্ময় ঘোষ, বললেন টি. ভি তে এই বাড়ির নিয়ে অনেক খবর শুনেছেন, দেখেছেন, তাই শান্তিনিকেতনে ঘুরতে এসে সামনাসামনি দেখা মিস করতে চাননি, তাই সবাই মিলে চলে এসেছেন।
একটা মেলা মতন, টোটো করে পর্যটক আসছেন, হৈ-হৈ করছেন, সেলফি তুলছেন,আনন্দ করছেন।
হুজুকে বাঙালী হয়তো একেই বলে।
.jpeg)
🟠 স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে শান্তিনিকেতনে সারা বছরে পর্যটকদের ভিড় থাকে, পৌষ মেলা, বসন্ত উৎসবের সময় তা জনঅরণ্য পরিণত হয়, কিন্তু এই আ-পা বাড়ি দেখতে যে দূর দুরন্ত থেকে মানুষ আসবে তা তাদের কাছে ধারণার অতীত ।
সত্যিই কী বিচিত্র আমাদের এই দেশ ?
🔰 আইন-আদালত চলুক তার নিঃধারিত রাস্তায়, মানুষের আবেগ চলুক তার মতন করে।
জানিনা পার্থ -অর্পিতার কাছে এই খবর জানা আছে কিনা ?


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন