ROLL EXPRESS , এগ রোল Health is Your Wealth🍿
চটজলদি খাবার বা ফাস্ট ফুড,
আজকের বিশয় এগ রোল💎
🟢 যদিও আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেক ক্ষেত্রে সহজ করেছে, কিন্তু এখন আমাদের জীবন সময়ের অধীনে। সময় আমাদের মাস্টার হয়ে উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা সবাই প্রায় একটি অপ্রয়োজনীয় জরুরিতার ফাঁদে পড়ে আটকে পরে আছি .তাই এই দ্রুততার জীবনে অর্থ ও প্রাচুর্য আত্মস্ত হলেও, সময় অতি দুষ্প্রাপ্র।
জীবনের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের খাদ্যাভাষেও আমূল পরিবর্তন এসেছে। ঘরে বানানো খাবারের জায়গায়, দ্রুত স্থান নিয়েছে বাইরের সুশ্বাদু চটজলদি খাবার বা ফাস্ট ফুড। যত জীবন ব্যাস্ত হবে ততই এই খাবারের উপরের নির্ভরশীলটা বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। মানুষের জীবন দর্শন ও পারিবারিক কালচারের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে খাদ্যের পছন্দের মূল চাবিকাঠি।
আসুন আজকে চটজলদি খাবারের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সুশ্বাদু রোল নিয়ে আলোচনা করবো।
চলুন সচেতন মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে বুঝে নি, এই রোল নামক সুশ্বাদু খাদ্যটির পুষ্টিগত মূল্য ও গুরুত্ব।
✅ ইতিহাস ::
রোল নামক খাদ্য বস্তুটি মূলত একটি আমেরিকান-চাইনিস খাবার , যদিও নানা রকম প্রকার ভেদ আছে , যেমন চিকেন রোল, ভেজ রোল, মটন রোল ইত্যাদি। তবে আমরা ভারত উপমহাদেশে রোল হিসাবে বুঝি সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এগ রোলকেই ।

সাধারণত বিশ্বাস করা হয় ১৯৩০ সালে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে একটা চাইনিস রেস্টুরেন্টএ এই এগ রোল নামক খাবারের উৎপত্তি হয়েছিল। সৃষ্টিকর্তা দুই জন, একজন লুম ফাঙ্গ আর অন্য জন হেনরি লো।
তবে মজার ব্যাপার এগ রোলে কিন্তু প্রথম দিকে এগ থাকতো না, এর প্রধান উপকরণ ছিল বাঁধাকপি।
পরে এর স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ভিতরে ডিম বা মাংস দেওয়া শুরু হয়।
কলকাতায় এগ রোলের নাম প্রথমে ছিল " কাঠী রোল' । মূলত বিদেশী সৈন্য দেড় মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি করা হত এই কাঠী রোল। মুচমুচে পরোটার মধ্যে মাংস বা তরকারি পুরে তৈরি করা হত। কাগজে মোড়ানো এই খাবার অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ই সারা কলকাতা শহরে জনপ্রিয় হয়ে ঊঠে ছিল।
✅ প্রধান উপকরণ ::
✅ প্রধান উপকরণ ::
বেশিরভাগ চটজলদি খাবারের মতন রোলেও প্রধান উপকরণ ময়দা। আর ময়দা যে একটা বিপদজনক খাবার সেটা নিয়েই আগেই আলোচনা করা হয়েছে।
ময়দা একটা পাত্রে নিয়ে সেখানে নুন ও তেল মিশিয়ে একটা মন্ড বানানো হয়, তার পরে পাতলা পাতলা করে রুটির মতন গোল গোল করে নিয়ে বেলে রেডি করে রাখা হয়। তারপরে অর্ডার অনুযায়ী এতে ডিম বা চিকেন মিশিয়ে গরম তেলে ভেজে পরিবেশন করা হয়।
ময়দা একটা পাত্রে নিয়ে সেখানে নুন ও তেল মিশিয়ে একটা মন্ড বানানো হয়, তার পরে পাতলা পাতলা করে রুটির মতন গোল গোল করে নিয়ে বেলে রেডি করে রাখা হয়। তারপরে অর্ডার অনুযায়ী এতে ডিম বা চিকেন মিশিয়ে গরম তেলে ভেজে পরিবেশন করা হয়।
\
✅ সমস্যা ::

তাই এই জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় ততটাই আপনার এবং আপনার পরিবারের মঙ্গল। তবে যদি একান্ত খেতে ইচ্ছে হলে অবশ্যই আপনি বাড়িতে তৈরী করে খেতে পারেন, তবে ময়দার বদলে আটা দিয়ে বানাবেন, স্বাদ নয় বা একটু কম হল, কিন্তু শরীরের পক্ষে তো ভালো ।
🟠 এখানে লেখার উদ্দেশ্য আপনাকে সচেতন করা , আপনাকে বঞ্ছিত করা নয়,
তাই সিধান্তটি অবশ্যই আপনার নিজের বিচার বুদ্ধি ও বিবেচনার উপরের একান্ত ভাবে নির্ভরশীল।
✅ সমস্যা ::
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোল সেন্টারে রোল ভাজা হয় পাম তেল বা বনস্পতি তেল দিয়ে। এই তেল খুব খারাপ, কারণ এই ধরণের তেলে প্রচুর পরিমানে স্যাটুরেটেড ফ্যাটি এসিড বা S.A.F.A থাকে, যা মানুষ শরীরের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকারক। মানুষের শরীরে খারাপ কলেস্টলর বা L. D. L বৃদ্ধি করে, হার্টের বারোটা বাজায়।
আবার কোন কোন দোকানে তো কোথাও আগের দিনের ব্যবহার হয়েছে কিন্তু বেচে গেছে এরকম বাসী তেল পুনরায় ব্যবহার করে রোল ভাজা হয়, এটা মানুষের পক্ষে এক প্রকার বিষ বললেও ভুল হবে না। আবার কোন কোন দোকানে রোলের ভিতরে দেওয়া সবজি গুলো অনেক আগে কেটে খোলা পাত্রে রাখা হয়, এই সব কাটা সবজিতে ধুলোবালি ও বিভিন্ন জীবাণু বাসা বাধে, যা পেটের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকারক ।
আবার কোন কোন দোকানে তো কোথাও আগের দিনের ব্যবহার হয়েছে কিন্তু বেচে গেছে এরকম বাসী তেল পুনরায় ব্যবহার করে রোল ভাজা হয়, এটা মানুষের পক্ষে এক প্রকার বিষ বললেও ভুল হবে না। আবার কোন কোন দোকানে রোলের ভিতরে দেওয়া সবজি গুলো অনেক আগে কেটে খোলা পাত্রে রাখা হয়, এই সব কাটা সবজিতে ধুলোবালি ও বিভিন্ন জীবাণু বাসা বাধে, যা পেটের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকারক ।
রোলে যে টোমাটো শশ বলে ব্যবহার করা হয় তাতে টমেটো বদলে কুমড়ো অথবা আলু সেদ্ধ করে কৃত্রিম রঙ মিশিয়ে তৈরী করা হয়। এটা অত্যন্ত মারাত্মক ও ক্ষতিকারক। এই সব জিনিস যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো।
রোল সুশ্বাদু করার জন্য এর অতিরিক্ত কাঁচা নবন মেশানো হয়, এই অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহে অত্যাধিক পরিমানে জল মজুদ করে রাখে, দীর্ঘ দিন এরকম ভাবে চললে হাই ব্লাড পেসার মতন প্রাণঘাতী মারণ রোগের সৃষ্টি হয়।
যারা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন, ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের জন্য এগরোল একপ্রকার বিষ। রোলের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি রক্তে শরকরার পরিমান বাড়ায়। সুগারে আক্রান্ত হবার ঝুকি বেড়ে যায়, ফলে হার্ট ফেল, কাদিয়ার্ক আরেস্ট মতন প্রাণঘাতী রোগের আশঙ্কা বাড়ে।

তাই এই জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় ততটাই আপনার এবং আপনার পরিবারের মঙ্গল। তবে যদি একান্ত খেতে ইচ্ছে হলে অবশ্যই আপনি বাড়িতে তৈরী করে খেতে পারেন, তবে ময়দার বদলে আটা দিয়ে বানাবেন, স্বাদ নয় বা একটু কম হল, কিন্তু শরীরের পক্ষে তো ভালো ।
🟠 এখানে লেখার উদ্দেশ্য আপনাকে সচেতন করা , আপনাকে বঞ্ছিত করা নয়,
তাই সিধান্তটি অবশ্যই আপনার নিজের বিচার বুদ্ধি ও বিবেচনার উপরের একান্ত ভাবে নির্ভরশীল।
Your Health is Your Wealth.
R.Subhro
🉐🟡 এই রকম প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য আমার এই ব্লগটি অনুসরণ করুন, এই বিশয়ে কারো কিছু বলার থাকলে অনু গ্রহ পূর্বক নিচে কমেন্ট করে জানান।
এরকম কোন বিশয়ে আপনাদের জানার থাকে তাহলে সেটাও আমাকে লিখে জানান , আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো আপনাদের কৌতূহল দূর করার ।
If You would Like to Give any Feedback Or Suggestions,
Then Please Feel Free to Email Me.
subhra2579@gmail.com
ধন্যবাদ ,



মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন