Managing the Sweet Threat: Understanding Diabetes"🥣

Managing the Sweet Threat: Understanding Diabetes"⛔

Who Knows More, Lives More.

🍿 নমস্কার বন্ধুরা আরও একবার আমার ব্লগে আপনাদের সবাই স্বাগত । আশা করছি পূজো সবার ভালো কেটেছে। ব্লগের এই বিশেষ সিরিজে হেলথ ও ডায়েট বিষয়ে ছোট্ ছোট কিছু অনুবেদনের হদিশ করার চেষ্টা করছি, এই দ্রুতগতির ডিজিটাল যুগে, যেখানে সংযোগগুলি প্রায়ই ক্ষণস্থায়ী মনে হয়, আসুন সত্যিকারের মানবিক সংযোগগুলি তৈরি করার গভীর শিল্পটি অন্বেষণ করার জন্য একটু সময় নিই।"

My Effort Will Fulfilled Only if Someone Benifits From Reading This article. That is My Biggest Inspiration & My Strenght to Move Forword.

🛑 "আমি যখন এটি লিখতে বসেছি, আমি অপরিচিতদের মধ্যে ব্যবধান দূর করার জন্য গল্পের নিরন্তর শক্তির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি, এবং এটিই আমরা আজ আলোচনা করবো। আজকে আমারা আলোচনা করবো ডায়াবেটিস মেলিটাস বা সুগার নামক রোগের বিশয়ে।
যেমন ডায়াবেটিস কি ? এটা কেন হয় ? আক্রান্ত হলে কি করা উচিত ? ইত্যাদি ইত্যাদি ,
তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

🟠 ডায়াবেটিস মেলিটাস যে আজকের সময়ের আমাদের অতি পরিচিত এবং বিরাট বড় এক সমস্যা , এটা আমাদের কারোর আজানা নয়। এটা বললে ভুল হবে না যে, শুধু আমার আপনার নয়, ডায়াবেটিস সমগ্র মানব সভ্যতার জন্যই একটা বড় থ্রেট। আজকের দিনে প্রায় প্রতিটি পরিবারে এই রোগে আক্রান্ত মানুষ থাকা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । মজার ব্যাপার ডায়াবেটিস কিন্তু কোন রোগ নয়, একটা শারীরিক কন্ডিশন মাত্র ।

সমস্যা হল আগে শুধু মাত্র একটু বয়স্ক মানুষেরাই মূলত এর কবলে পড়তেন।এই কিন্তু এখন বয়স্ক নাগরিক ছাড়াও যে কোন বয়সের মানুষ এমন কি শিশুরাও এর জালে আবদ্ধ হয়ে পরছে। যত সভ্যতার চাকা গড়াচ্ছে ততই ডায়াবেটিস তার শিকড় মজবুত করে চলছে।

🟢 The Indian Express পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যার ১১.৫% মানুষ এই মহামারীর প্রকোপে আক্রান্ত। বর্তমানে বিশ্বের ৬ জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিক রোগী ভারতের। গত এক বছরের মধ্যে ৪৪% মানুষ নতুন করে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়েছে। চিন্তা করার বিষয় এদের মধ্যে শিশুরাও আছে। ভারতে শিশুদের মধ্যে যে ভাবে ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ বাড়ছে তা ভীষণ উদ্বেগজনক। বলা বাহুল্য খুব তাড়াতাড়ি ভারত বিশ্বের ডায়াবেটিক রাজধানী পরিণত হতে চলেছে । The Silent Killer.

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সচেতনতা বাড়ানোই ডায়বেটিস প্রতিরোধের প্রথম ধাপ। International Diabetec Federation ( F. D. I) প্রতিবছর ১৪ নভেম্বরকে World Diabetes Day হিসাবে পালন করছে। আপ্রান চেষ্টা করে চলেছে, সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে এই মহামারী হাত থেকে রক্ষা করার। F. D. I মনে করে ডায়বেটিস মহামারীর মতন ছড়িয়ে পরার মূল কারণ আমাদের মধ্যে এর সম্পর্কে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা গড়ে না উঠা । কথায় আছে, Prevention Is Better Than Cure.

🛑 তাই আসুন আজকে একজন সচেতন নাগরিক ও বুদ্ধিমান মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে, বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি। উপলব্ধি করার চেষ্টা করি ডায়াবেটিস আসলে কি ? কেন এই অসুখ হয় ? কাদের হয় ? এর প্রতিকার কি? ।

আমরা যে খাবার খাই, তা মূলত তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরী শর্করা, প্রোটিন ও ফ্যাট। এদের মধ্যে শর্করা আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শরীরে শক্তি প্রদান করে, পেশীর পরিমান ঠিকঠাক বজায় রাখে।কিন্তু অতিরিক্ত শর্করা ক্ষতিকারক, তাই আমাদের শরীরে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন নামক হরমোন। যেটা তৈরী হয় প্যানক্রিয়াস নামক গ্রন্থি থেকে। কিন্তু কোন কারণে এই ইনসুলিন তৈরি বন্ধ হয়ে গেলে বা পরিমানে কম উৎপাদন হলে। তখন শরীরের মধ্যে শর্করার পরিমান বাড়তে থাকে এবং শরীরে মধ্যেই জমা হতে থাকে, এই রকমের কন্ডিশনকেই ডায়বেটিস বা সুগার বলে।

🛑 কারণ ঃঃ ডায়বেটিস হওয়ার কারণ মূলত দুটি,

এক, পরিবারিক কারণ : অর্থাৎ পরিবারের বাবা, মা বা অন্য কারো থেকে ডায়বেটিস বংশগত ভাবে হয়েছে। জিনের কারণে।

দ্বিতীয় : লাইফস্টাইল বা অভ্যাসগত কারণ, অনিয়ন্তিত খাদ্যভ্যাস, পরিশ্রম বিমুখ, জীবন যাপনের উপরের কোন ডিসিপ্লিন নেই। মশলাযুক্ত খাদ্যভ্যাস, মানসিক অশান্তি, নিয়মিত নেশা দ্রব্য গ্রহণ। রাত্রি জাগরণ। ইত্যাদি।

🛑 ডায়বেটিস হলে কি হয়:

ডায়াবেটিস নিজে অসুখ না হলেও, যেহেতু আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ নিয়ম মানতে চাননা, তাই তখন ডায়াবেটিসের মাধ্যমে আসে বিভিন্ন জটিল রোগ। যেমন, প্রথমেই আক্রান্ত হয় চোখ। যাকে বলে "ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি "। এই ফলে চোখের ভিতরের সুক্ষ সুক্ষ শিরাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আক্রান্ত মানুষ আস্তে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।স

দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি, প্রথমে বোঝা না গেলেও আস্তে আস্তে দুটো কিডনি খারাপ হয়ে যায়। তখন ডায়ালিসিসের উপরের বেঁচে থাকে রোগী, একে বলে ডায়াবেটিক নেফ্রেপ্যাথি।

এছাড়া হার্ট প্রবলেম, প্যারালাইসিস থেকে আরও অনেক কঠিন কঠিন রোগ ডায়াবেটিস থেকে হতে পারে।

🟢 চিকিৎসা :

প্রথমেই বোঝা দরকার যেহেতু ডায়াবেটিস কোন রোগ নয়, তাই একবার হলে এটা সম্পূর্ণ সারে না। তবে চাইলে নিয়ন্তিত জীবন যাপন, খাবারে নিয়ন্ত্রণ, পরিমিত ব্যামের মাধ্যমে এই অসুখ নিয়ন্ত্রণ করে রেখে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকা সম্ভব।

ডায়াবেটিসের মূল ওষুধ খাবার কন্ট্রোল। চিনি, গুড়, আইসক্রিম, যেকোনো মিষ্টি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, জ্যাম, জেলি, কেক, পেস্ট্রি, যেকোনো নেশার দ্রব্য প্রথমেই বর্জন করতে হবে। মটন যত কম খাওয়া যাবে ততই ভালো। গোরু বা মহিশের দুধ থেকেও দূরে থাকতে হবে।

🧧 ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে

যেকোন সবুজ শাক সবজি, যেকোনো রকমের ডাল, যেকোন ফল, যাতে ভিটামিন -C থাকে, যেমন পেঁপে, মুসাম্বি, কমলালেবু। ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে সাদা অংশ। সব রকমের মাছ। তবে চিঙড়ি বাদ দিয়ে। প্রচুর জল খান। পারলে মাঝে মাঝে উপবাস করুন । রেস্ট নিন।

🛑 যোগ ব্যায়াম

ডায়াবেটিক রোগীদের প্রাত ভ্রমণ ভীষণ উপকারে আসে। এছাড়া ঘরের ভিতরে যোগ ব্যায়াম করতে পারেন, সুগার নিয়ন্ত্রনে থাকবে। যেমন, পবন মুক্ত আসন, ভুজঙ্গাসন, উষ্ট্রাসন,। যাদের ডায়বেটিস আছে তাঁরা এই আসন করলে উপকৃত অবশ্যই হবেন, এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস নেই তারাও নিয়মিত করলে উপকার পাবেন ।

ডায়াবেটিস একটি জীবনব্যপী অবস্থা, পুরোপুরি সারে না ঠিক। কিন্তু সঠিক সরঞ্জাম এবং সহায়তার ও যত্ন নিলে, যাদের এই অবস্থা রয়েছে তারা সুস্থ এবং পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের সাথে নিয়মিত চেক-আপ, রোগ সম্পর্কে শিক্ষা এবং একটি শক্তিশালী সহায়তা ব্যবস্থা ডায়াবেটিস পরিচালনায় একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য করে ফেলে। তাই ডায়াবেটিস হলে ভেঙে পরার কিছু নেই , দরকার সঠিক সচেতনতা ও একটু যত্ন ।