কলকাতা ডাইরি 𝐁𝐥𝐚𝐜𝐤 𝐇𝐨𝐥𝐞 𝐓𝐫𝐚𝐠𝐞𝐝𝐲
কলকাতা ডাইরি 🌿
🃏 কলকাতা কবে, কিভাবে শহর হিসাবে গড়ে উঠলো ঠিক বলা যায় না ,কলকাতা শব্দটি উচ্চারিত হবার সাথে সাথে অবধারিত ভাবে যার কথা সবার আগে মনে পরে তিনি অবশ্যই "জোব চার্ণক"। তবে চার্ণক কলকাতার প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কিনা, তা অবশ্যই বিতর্কিত।
এই কলকাতার আদি পর্বের ইতিহাস যেমন বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক ও সাহিত্যিক উপাদান থেকে পাওয়া যায়, তেমনি কলকাতার আদি যুগের চিত্ররূপ ও এই শহর সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু জানতে সাহায্য করে ।
পলাশী যুদ্ধের পর থেকেই এদেশে একের পর এক বিদেশী শিল্পীদের আগমন শুরু হয়। তখন যেহেতু কোম্পানির সদর শহর ছিল কলকাতা, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এখানেই প্রথম পদার্পন করতেন এই সব আগন্তুক শিল্পীরা। এদের মধ্যে যারা সেই সময়ের কলকাতা শহরের চিত্ররূপ রেখে গেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ছিলেন টমাস দ্যানিয়েল ও উইলিয়াম দ্যানিয়েল। তাঁরা কলকাতায় এসেছিলেন ১৭৮৫-৮৬ সাল নাগাদ। তখন কলকাতা নগরী সবে মাত্র গড়ে উঠতে শুরু করেছে নব কলরবে। পুরানো গ্রাম্য ভাবের খোলস ছেড়ে কলকাতা পরিণত হচ্ছে চোখ ঝলসানো চেহারায়।
তাঁদের আঁকা ছবি আমাদের সেই সময়ের কলকাতাকে চিনতে শেখায়। আমরা তাঁদের কাছে ঋণী।
ছবিটি ১৭৯৫ সময়ের রাইটার্স বিল্ডিংস ও তার সামনে হলওয়েল মনুমেন্টের।

🧵 রাইটার্স বিল্ডিংস বা মহাকরণ
রাইটার্স বিল্ডিংসের নকশা প্রস্তুত করেছিলেন টমাস লায়ন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইউরোপীয় কেরানিদের জন্য তৈরী এই ভবন।এই কেরানিদের বলা হত রাইটার; এদের নাম থেকেই ভবনের নাম রাইটার্স বিল্ডিংস।
১৭৭৭ থেকে ১৭৮০, এই ৩ বছর ধরে তৈরি হল এই ভবন। কাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৎকালীন গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস। কলকাতায় এটাই নাকি প্রথম তিন তলা বাড়ি।
ইংল্যান্ড থেকে কাজ করতে আসা তরুণরা বাধা পাচ্ছিলেন ভাষা সমস্যার জন্য। সেই ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি হল ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ। পরে কিছু জটিলতার জন্য সেই কলেজ উঠে আসে রাইটার্স ভবনে।কলেজ তৈরির মূল উদ্দেশ্যই ছিল রাইটার্স বিল্ডিংয়ের জন্য দক্ষ কর্মী প্রস্তুত করা।
🧵 হলওয়েল মনুমেন্ট 𝐁𝐥𝐚𝐜𝐤 𝐇𝐨𝐥𝐞 𝐓𝐫𝐚𝐠𝐞𝐝𝐲
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বেআইনি কার্যকলাপ বরদাস্ত করতে না পেরে নবাব সিরাজদ্দৌলা ১৭৫৬ সালের ১০ জুন কলকাতায় আক্রমণ করলেনএবং ইংরেজদের দুর্গ ফোর্ট উইলিয়াম অবরোধ করলেন ।
ইংরেজরা সহজেই পরাজিত হল । হুগলির দিকে দু একটি জাহাজ লাগানো ছিল, তৎকালীন গভর্নর ড্রেক ও অনেক অসামরিক ব্যবসায়ী নাগরিক ও কিছু উচ্চপদস্থ সাহেব কর্মচারী সেই জাহাজগুলোতে উঠে মাঝ নদীতে পালালেন। বাকি ১৭০ জন সৈন্য পরাজিত হয়ে সিরাজের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল ।
তাঁদের মধ্যে একজন গভর্নর জেফানিয়া হলওয়েল। এর পর দুর্গের ভিতর একটি অপরিসর ঘরে ১৪৬ জন ইংরেজকে সারা রাত আটকে রাখা হয়। ফলে দমবন্ধ হয়ে মারা যান ১২৩ জন। এটাই জীবিতদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হলওয়েল। এই ঘটনাকে অন্ধকূপ হত্যা বা 𝐁𝐥𝐚𝐜𝐤 𝐇𝐨𝐥𝐞 𝐓𝐫𝐚𝐠𝐞𝐝𝐲 নামে অভিহিত করেছিলেন তিনি।
বাংলা ছাড়ার আগে এই ঘটনার স্মৃতিতে একটি স্মারক তৈরি করে যান। সেটিই হলওয়েল মনুমেন্ট ।
🅾️ পরে হেস্টিংসের নির্দেশে তা ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
লর্ড কার্জনের নির্দেশে পুরনো স্মারকের আদলে ফের সেটি গড়ে তোলা হয় রাইটার্স বিল্ডিংয়ের উত্তর-পশ্চিম কোণে। আসলে সিরাজকে নৃশংস শাসক প্রতিপন্ন করতেই ছিল এই উদ্যোগ।
রাইটার্স বিল্ডিংসের নকশা প্রস্তুত করেছিলেন টমাস লায়ন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইউরোপীয় কেরানিদের জন্য তৈরী এই ভবন।এই কেরানিদের বলা হত রাইটার; এদের নাম থেকেই ভবনের নাম রাইটার্স বিল্ডিংস।
১৭৭৭ থেকে ১৭৮০, এই ৩ বছর ধরে তৈরি হল এই ভবন। কাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৎকালীন গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস। কলকাতায় এটাই নাকি প্রথম তিন তলা বাড়ি।
ইংল্যান্ড থেকে কাজ করতে আসা তরুণরা বাধা পাচ্ছিলেন ভাষা সমস্যার জন্য। সেই ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি হল ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ। পরে কিছু জটিলতার জন্য সেই কলেজ উঠে আসে রাইটার্স ভবনে।কলেজ তৈরির মূল উদ্দেশ্যই ছিল রাইটার্স বিল্ডিংয়ের জন্য দক্ষ কর্মী প্রস্তুত করা।
🧵 হলওয়েল মনুমেন্ট 𝐁𝐥𝐚𝐜𝐤 𝐇𝐨𝐥𝐞 𝐓𝐫𝐚𝐠𝐞𝐝𝐲
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বেআইনি কার্যকলাপ বরদাস্ত করতে না পেরে নবাব সিরাজদ্দৌলা ১৭৫৬ সালের ১০ জুন কলকাতায় আক্রমণ করলেনএবং ইংরেজদের দুর্গ ফোর্ট উইলিয়াম অবরোধ করলেন ।
ইংরেজরা সহজেই পরাজিত হল । হুগলির দিকে দু একটি জাহাজ লাগানো ছিল, তৎকালীন গভর্নর ড্রেক ও অনেক অসামরিক ব্যবসায়ী নাগরিক ও কিছু উচ্চপদস্থ সাহেব কর্মচারী সেই জাহাজগুলোতে উঠে মাঝ নদীতে পালালেন। বাকি ১৭০ জন সৈন্য পরাজিত হয়ে সিরাজের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল ।
তাঁদের মধ্যে একজন গভর্নর জেফানিয়া হলওয়েল। এর পর দুর্গের ভিতর একটি অপরিসর ঘরে ১৪৬ জন ইংরেজকে সারা রাত আটকে রাখা হয়। ফলে দমবন্ধ হয়ে মারা যান ১২৩ জন। এটাই জীবিতদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হলওয়েল। এই ঘটনাকে অন্ধকূপ হত্যা বা 𝐁𝐥𝐚𝐜𝐤 𝐇𝐨𝐥𝐞 𝐓𝐫𝐚𝐠𝐞𝐝𝐲 নামে অভিহিত করেছিলেন তিনি।
বাংলা ছাড়ার আগে এই ঘটনার স্মৃতিতে একটি স্মারক তৈরি করে যান। সেটিই হলওয়েল মনুমেন্ট ।
🅾️ পরে হেস্টিংসের নির্দেশে তা ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
লর্ড কার্জনের নির্দেশে পুরনো স্মারকের আদলে ফের সেটি গড়ে তোলা হয় রাইটার্স বিল্ডিংয়ের উত্তর-পশ্চিম কোণে। আসলে সিরাজকে নৃশংস শাসক প্রতিপন্ন করতেই ছিল এই উদ্যোগ।
If You would Like to Give any Feedback Or Suggestions,
Then Please Feel Free to Email Me.
subhra2579@ gmail.com
ধন্যবাদ ,
R.subhro
.jpeg)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন